পর্ব- ৩

বাংলাদেশে ই-স্পোর্টস: স্পন্সর থাকলে অনেক সুবিধা

করোনা ভাইরাসের মহামারিতে বিশ্বে যে কয়টি শিল্প খুব দ্রুত এগিয়েছে তার মধ্যে ই-স্পোর্টস অন্যতম। অনলাইন গেম খেলে অনেকেই প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা রোজগার করছে। বাংলাদেশেও অনেকে ই-স্পোর্টসকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। তবে ই-স্পোর্টস সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই।

সম্ভাবনাময় এই শিল্প সম্পর্কে তরুণ-তরুণীদের ধারণা দিতে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে ইত্তেফাক অনলাইন। আজ থাকছে তৃতীয় পর্ব-

শুরুতেই জেনে নেওয়া যাক ই-স্পোর্টস কি?

অনলাইনভিত্তিক কম্পিউটার কিংবা মোবাইল গেমিং টুর্নামেন্টগুলোকে বলা হয় ইলেকট্রনিক স্পোর্টস বা ই-স্পোর্টস। পশ্চিমা দেশগুলোতে বড় বড় মিলনায়তন ও স্টেডিয়ামে জাকজমকভাবে এসব টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া গেমারদের বলা হয় পেশাদার ই-স্পোর্টস খেলোয়াড়। তারা দলগত কিংবা এককভাবে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারেন।

অনলাইন গেম খেললে সময়ের অপচয়, পড়ালেখার ক্ষতি ও মানসিক সমস্যা হয়-এসব বিষয় নিয়ে আমাদের দেশে আলোচনা হলেও এটি একটি সম্ভাবনাময় খাত তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয় না। আমাদের দেশে এই শিল্প হতে পারে অর্থ আয়ের এক স্বর্ণ খনি। পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল ও পাকিস্তানে ই-স্পোর্টসকে আনুষ্ঠানিক খেলার মর্যাদা দিলেও এখনো অন্ধকারে বাংলাদেশ। তবে কিছু তরুণের হাত ধরে সম্ভাবনাময় এই খাত দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। অনেকেই পেশা হিসেবে ই-স্পোর্টসকে বেছে নিচ্ছেন।

তাদেরই একজন নারায়ণগঞ্জের আমিনুল রাহাত। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পেশাদার পাবজি মোবাইল খেলোয়াড় তিনি। মোবাইল গেমিং জগতে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে চেনানো দলটির অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। সবাই তাকে ‘কাপসি’ (Kapshi) হিসেবেই চিনে। খেলছেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ ও জনপ্রিয় পাবজি দল গ্রেমলিন স্টোর্ম (জিএসএম) ই-স্পোর্টসে।

গত পর্বে আমরা সিনিস্টার থেকে জানতে পেরেছি ই-স্পোর্টস খাতকে এগিয়ে নিতে স্পন্সরের ভূমিকা অনেক। কাপসির দল জিএসএম দেশের মোবাইল গেমিং দলগুলোর মধ্যে অন্যতম যারা স্পন্সর প্রাপ্ত। ইত্তেফাক অনলাইনের আজকের পর্বে সে বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করেছেন আমিনুল রাহাত (কাপশি)

No description available.

গ্রেমলিন স্টোর্ম দলটির খেলোয়াড়রা

তাদেরই একজন নারায়ণগঞ্জের আমিনুল রাহাত। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পেশাদার পাবজি মোবাইল খেলোয়াড় তিনি। মোবাইল গেমিং জগতে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে চেনানো দলটির অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। সবাই তাকে ‘কাপসি’ (Kapshi) হিসেবেই চিনে। খেলছেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ ও জনপ্রিয় পাবজি দল গ্রেমলিন স্টোর্ম (জিএসএম) ই-স্পোর্টসে।

গত পর্বে আমরা সিনিস্টার থেকে জানতে পেরেছি ই-স্পোর্টস খাতকে এগিয়ে নিতে স্পন্সরের ভূমিকা অনেক। কাপসির দল জিএসএম দেশের মোবাইল গেমিং দলগুলোর মধ্যে অন্যতম যারা স্পন্সর প্রাপ্ত। ইত্তেফাক অনলাইনের আজকের পর্বে সে বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করেছেন আমিনুল রাহাত (কাপশি)।

পাবজি মোবাইল গেমটির সঙ্গে পরিচিত হলেন কী করে? সেখান থেকে প্রতিযোগিতামূলক খেলাগুলোতে যোগ হলেন কীভাবে?

গেমটি সম্পর্কে এলাকার এক বড় ভাই থেকে জানতে পেরেছিলাম। প্রথমে শখ থেকেই খেলতাম। এর আগে ক্ল্যাশ অব ক্ল্যান্স খেলেছি। ওই গেমটির প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টগুলো সম্পর্কে জানতাম। খোঁজ খবরও রাখতাম। কিন্তু খেলা হয়নি। পাবজি খেলা শুরু করার পর থেকেই এর টুর্নামেন্টগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছি। সেখানে আমার খেলার ইচ্ছা ছিলো। তাই শুরু করি। সেই থেকে আজ ৩ বছর হতে চলেছে। এখনো খেলছি।

No description available.

আমিনুল রাহাত (কাপশি)

কাপসির দল জিএসএম এতোদিন ভারতীয় ই-স্পোর্টস প্রতিষ্ঠান ফিউচার স্টেশন থেকে স্পন্সর প্রাপ্ত ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি তাদের সঙ্গে গ্রেমলিন স্টোর্মের চুক্তি শেষ হয়েছে। এবার তারা যুক্ত হয়েছেন আরেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেভন সি (7sea) এর সঙ্গে।

ইত্তেফাক অনলাইন তাকে প্রশ্ন করেছিল যে, একটি ই স্পোর্টস দল তাদের স্পন্সর থেকে কী কী সুবিধা পায়? জবাবে কাপশি বলেন,

স্পন্সর থেকে মাসিক একটি বেতন আসে। তাছাড়া গেমটি যেহেতু অনলাইনে খেলা হয় সেহেতু তারা আমাদের ভালো ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করে দেয়। খেলার জন্য ভালো ডিভাইস, হেডফোনের ব্যবস্থা করে তারা। কোনো অফিসিয়াল টুর্নামেন্ট হলে আমাদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়া সব কিছু বহন করবে স্পন্সর। যেমন দেখেন আমাদের দেশের দুইজন পাবজি মোবাইল খেলোয়াড় সেভন সি এর একটি নেপালি দলের হয়ে খেলছে।

কোনো অফিসিয়াল টুর্নামেন্ট হলে তাদের বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাওয়া-আসা, থাকা-খাওয়া সব সেভন সি বহন করছে। আমাদের এরকম কিছুর প্রয়োজন হলে আমরাও পাবো। তাছাড়া কোচ থাকে, ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা একটি কমিটি থাকে। আমাদের খেলা ও অন্যান্যদের খেলা পর্যালোচনা করার মানুষ থাকে। তারা অন্য টিমের খেলার ধরণ ও দুর্বলতা গুলো আলোচনা করার পাশাপাশি আমাদের সমস্যা ও দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করেন।

বাংলাদেশে এই শিল্প এখনো উঠতি। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে যা ইতিমধ্যে প্রশিদ্ধ ও জনপ্রিয়, সেখানে স্পন্সর থেকে খেলয়াড়রা কেমন সুবিধা পাচ্ছে?

উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্পন্সরদের বিভিন্ন ধরণের চুক্তি থাকে। তারা প্রতিযোগিতামূলক খেলা ছাড়তে চাইলে স্পন্সর তাদের অন্য কিছু করার সুযোগ দেয়। তাছাড়া বিশেষ সার্টিফিকেটও দেওয়া হয় তাদের। আর বেতন কাঠামোও অনেক ভালো। উত্তর আমেরিকান অঞ্চলে মধ্যম ক্যাটাগরির একজন মোবাইল গেমার ৮০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতন পেতে পারেন।

ইত্তেফাক/টিআর/এসজেড



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews