অন্য নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরে স্ত্রীর সঙ্গে কলহ চলছিল এক যুবকের। সেই কলহের জের পুলিশ অবধি গড়ায়। বিষয়টির কোনো সুরাহা না হওয়ায় থানায় গিয়ে নিজের হাতের কবজি আর গলা কাটেন ওই যুবক।
শনিবার একটি ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের গাজিয়াবাদের নন্দগ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
নন্দগ্রাম থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত তিনবছর ধরে পাশের এলাকার এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যান ওমপ্রকাশ। এ নিয়ে ওমপ্রকাশের সঙ্গে তার স্ত্রীর দীর্ঘদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল।
এ ব্যাপারে সার্কেল অফিসার অবনীশ কুমার জানান, স্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে ঝগড়া করে গত শনিবার বাড়ি থেকে চলে যায় ওমপ্রকাশ। ওমপ্রকাশ তিনদিন ধরে বাড়িতে না আসায় তার স্ত্রী থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।
ওমপ্রকাশের স্ত্রীর দাবি, তার স্বামী তার সঙ্গে বিচ্ছেদ না হওয়ার পরও ওই নারীর সঙ্গে বাস করা শুরু করেছে।
স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওমপ্রকাশের বড়ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে তাকে থানায় ডাকে পুলিশ। পুলিশের কাছে ওমপ্রকাশ জানান, তিনি ওই নারীর সঙ্গেই থাকতে চান। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছে বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।
এরপরই একটি ব্লেড বের করে নিজের হাতের কবজি কাটেন ওমপ্রকাশ। পুলিশ তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই একই ব্লেড দিয়ে নিজের গলাও কাটেন তিনি। পুলিশ তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই যুবকের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
আরেক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, কবজি কাটার সময় ওম বারবার বলছিলেন তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে আর থাকতে চান না।
পেশার দিনমজুর ওমপ্রকাশের পাঁচ বছর বিয়ে হয়েছে। তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে