পাকিস্তানে আরেক দফা পেট্রোলের দাম বৃদ্ধিতে জ্বলে উঠেছে দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
সরকারের সিদ্ধান্তে ঠাট্টা-উপহাস-বিরক্তি প্রকাশের মাধ্যমে জ্বালানি নিয়ে শুরু হয়েছে জ্বালাময়ী পোস্ট। সরব হয়ে উঠেছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার।
শুক্রবার জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ইসলামাবাদের এক অ্যাকাউন্ট থেকে একজন টুইট করেছেন, ‘অনুগ্রহ করে ইসলামাবাদে ঘোড়ার গাড়ি এবং রিকশা ব্যবহারের অনুমতি দিন। শহরে কোনো পাবলিক ট্রান্সপোর্টের জন্য লোকজন উচ্চমূল্যের পেট্রোল কিনতে পারবে না।’
অন্য এক টুইটার ব্যবহারকারী একটি অদ্ভুত ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে গাধা একটি গাড়িকে ধাক্কা দিচ্ছে এবং টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে-পাকিস্তানে পুরোনো দিন ফিরে এসেছে। জ্বালানির ভর্তুকি তুললে ৯০ কোটি ডলার পাবে পাকিস্তান।
সেই লক্ষ্যেই দেশটিতে পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ৩০ রুপি বাড়িয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক মুদ্র তহবিল (আইএমএফ) পণ্যে ভর্তুকি বাতিলের ওপর জোর দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেখা যায় প্রতীকী প্রতিবাদ। ডন।
এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন তেল এবং লাইট ডিজেলের দাম ২৭ মে থেকে কার্যকরভাবে ৩০ রুপি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, কিছু বোঝা জনসাধারণের ওপর স্থানান্তরিত করতে হবে, তবে পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম ব্যাপক বৃদ্ধি সত্ত্বেও সরকার এখনো লোকসান গুনছে।
মূল্যবৃদ্ধির পর পাকিস্তানে বর্তমানে পেট্রোলের দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি লিটারে ১৭৯.৮৬ রুপি, ডিজেল ১৭৪.১৫ রুপি, কেরোসিন তেলের দাম ১৫৫.৫৬ রুপি এবং লাইট ডিজেলের দাম ১৪৮.৩১ রুপিতে। পাকিস্তান ২০১৯ সালে তিন বছর মেয়াদি আইএমএফের একটি ৬০০ কোটি ডলারের চুক্তিতে ঢুকলেও ওই অর্থের প্রায় অর্ধেক এখনো ছাড় হয়নি। ৯০ কোটি ডলারের বেশি অর্থের ছাড় নির্ভর করছে আইএমএফের সন্তোষজনক পর্যালোচনার ওপর।
এ কারণেই ভর্তুকি কমাতে মরিয়া হয়েছে সরকার। পাকিস্তানের এই অর্থমন্ত্রী জানান, পেট্রোলিয়াম পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সরকার সচেতন ছিল।