অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ছয় মাসের কার্যক্রমের মূল্যায়নের পাশাপাশি পরবর্তী ছয় মাসের কর্মপরিকল্পনা করতে হবে। সেখানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ চালু রাখা, সরকারি ব্যয়ের দক্ষতা বৃদ্ধি, কর আহরণ বাড়ানো ও বৈদেশিক খাতের ব্যবস্থাপনায় জোর—এ পাঁচটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ছাড়া ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে বিদেশি সহযোগীদের নিয়ে উন্নয়ন ফোরাম করতে হবে। সেখানে বাজেট অর্থায়ন ও এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাজারসুবিধা প্রাপ্তির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা দরকার।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংলাপে এসব পরামর্শ দেন অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বছর শেষে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিজেদের মূল্যায়ন করতে হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য এই মূল্যায়ন দরকার। একই সঙ্গে মানুষের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করতে অন্তর্বর্তী সরকার কী করতে চায়, সেটিও সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে।