সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত মেজর (অব) সিনহা মো. রাশেদ হত্যাকাণ্ডের একবছর পূর্ণ হলো। গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের টেকনাফ বাহারছরা পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিল।
সিনহা হত্যা নিয়ে তার বোনের করা হত্যা মামলায় র্যাবের দেয়া চার্জশিট আদালতে গ্রহণ এবং চার্জ গঠন করেছে। তবে চলমান লকডাউনে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সিনহা হত্যা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। গত ২৬ জুলাই এই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ছিল।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, গত ২৭ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আসামিদের উপস্থিতিতে মামলাটির চার্জ গঠন করে ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই একটানা তিন দিন বাদীসহ ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে লকডাউনে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। পরবর্তী দিন ধার্য করে এটি সম্পন্ন করা হবে।
আদালতে দেয়া চার্জশিট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।
৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার তৎকালিন ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।
চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। এ মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জন আসামি কারাগারে রয়েছেন।