দলের মধ্যে চাঁদাবাজ থাকতেই পারে, তবে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল।
তিনি বলেন, আমাদের বহু কর্মী, লক্ষ লক্ষ কর্মী, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুলিয়া। আমার মত বড় পরিবার আর কোথাও নাই। সেজন্য আমার বিরুদ্ধে, কেউ কেউ বিচ্ছিন্নভাবে এরকম বিপদগামী হতেই পারে। আমরা দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে কোনোভাবেই প্রমোট করছি না, প্রশ্রয় দিচ্ছি না, অস্বীকার করছি না। আগে দেওয়া হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকুক বা আপনি যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সমালোচনা করবেন সেটার একটা শ্রুতিমধুর হওয়ার প্রয়োজন আছে, একটা সুস্থতার প্রয়োজন আছে। যেটা তারা করছে, এটা ক্ষেত্রবিশেষে অসুস্থতার পরিচয় বহন করছে। এ সর্ম্পক কাম্য নয়। এমন কিছু কারো করা উচিত নয়, যাতে ঐ ফ্যাসিবাদী শক্তি লাভবান হয়। আবার আমাদের বিভেদ-বৈষম্যের কারণে তারা আবার ফিরে আসে, এ ধরনের ভূমিকা কারো, ঐ যে ‘নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ’ করার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করছি না।
তিনি বলেন, ঐক্য যদি আমাদের দেশে সংকটকাল বা বাস্তবতা তৈরি হয় যে প্রধান উপদেষ্টা ডাক দিয়েছেন, সব দল কিন্তু আমরা এক কাতারে শামিল হয়েছি। আবার এমন ঐক্যের প্রয়োজন নাই, যে একেবারে জাতীয় ঐক্য কি বলে বাকশালের মতো ঐক্য হয়ে যাবে। সব দল এক হয়ে যাবে, তাহলে সমালোচনা কে করবে।
তিনি আরো বলেন, চাঁদাবাজি হচ্ছে, আজকে আমি পত্রিকায় দেখলাম, আজকেই দেখবেন ৩টার খবর, কলাবাগান থানায় বৈষম্যবিরোধী নেতারা ১৪ জন গ্রেপ্তার, বাড়ি দখল করতে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল দেখলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের যে নতুন দল, তারা ছাত্রসংগঠনের একজন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছে। আরেকটা নিউজ দেখলাম, বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়করা এরকম করতেছে।
শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, “হ্যাঁ, আমার দলেরও এরকম অভিযোগ আসছে, এটা অসত্য না। আমার একটা বৃহৎ দল, বৃহৎ পরিবার, আমরা টপ টু বটম সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছি এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য। কখনো কখনো তীব্র ভাবে বলা হচ্ছে, প্রোপাগান্ডা করা হচ্ছে। একটা গোষ্ঠী সেটা করছে। আবার কিছু ঘটনা হচ্ছে, সেটাও সত্য।”
তিনি বলেন, “ঘটনার পরে জিরো টরালেন্স আমরা। এসব ক্ষেত্রে টপ টু বটম থেকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না।একেবারে জিরো টরালেন্স বলা হয়েছে। আমাদের হাতে তো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নাই। আমরা তো সরকারে না। আমাদের হাতে যতটুকু আছে, আমরা বহিষ্কার করছি হাজারের উপরে নেতাকে একেবারে। দায়িত্বশীল বড় বড় নেতাকে, এখন গ্রেপ্তার করার কাজ তো আমাদের না। আমরা নিজেরা মামলাও করেছি। পার্থক্য কি জানেন, এই সমাজ এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন যাবৎ এই কালচার আছে। এটা তো আছে, একদিনে-রাতারাতি আপনি সেটাকে উৎখাত করতে পারবেন না, এটাও সত্য।”
তিনি আরো বলেন, “তবে আপনি প্রটেকশন দিচ্ছেন কিনা, দল হিসেবে, সরকার হিসেবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আগের দিনে যেমন প্রটেকশন দেওয়া হইতো, দলীয়ভাবে অস্বীকার করা হইতো, এখন সেটা করা হচ্ছে না।”
চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অভিযোগ আসছে, তদন্ত হচ্ছে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এবং আমরা দলের পক্ষ থেকে মামলাও করছি, যে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে।”