ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ৭৪ রানের বড় জয় পেয়েছে মোহামেডান। আবাহনীর জয় আরও বড়। প্রাইম ব্যাংককে ১৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে লিগ টেবিলে শীর্ষে থাকা দলটি। দিনের অন্য ম্যাচে মাত্র ১৭৮ রান করেও শাইনপুকুরকে ৫ রানে হারিয়েছে ডিপিএলের নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।
বুধবার বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান তোলে আবাহনী। ওপেনার পারভেজ ইমন ৭১ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন। ছয়টি চারের সঙ্গে পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। তিনে নামা অধিনায়ক নাজমুল শান্তর ব্যাট থেকে ৭০ বলে আসে ৫৮ রানের ইনিংস। লোয়ার মিডলে ৪২ বলে ৩৭ রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন।
জবাব দিতে নেমে প্রাইম ব্যাংক ৩২ ওভারে ১৫৭ রানে অলআউট হয়েছে। ছন্দে থাকা দলটির ওপেনার নাঈম শেখ ৭৪ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি নয়টি চার ও একটি ছক্কা মারেন। সাতে ব্যাট করতে নেমে শামীম পাটোয়ারি ২৬ বলে ৪০ রান যোগ করেন। তিনটি চার ও চারটি ছক্কা মারেন তরুণ এই বাঁ-হাতি। প্রাইম ব্যাংককে ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা করেছেন ডানহাতি স্পিনার মোসাদ্দেক ও বাঁ-হাতি রাকিবুল হাসান। মোসাদ্দেক ৭ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। রাকিব ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে মোহামেডান ৭ উইকেটে ২৮৭ রান করে। ওপেনার রনি তালুকদার ৪৬ ও তিনে নামা মাহিদুল অঙ্কন ৬৪ রান করেন। অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় ৪২ ও মুশফিকুর রহিম দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন।
জবাবে অগ্রণী ব্যাংকের অমিত হাসান দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নেন। তিনি তিনে ব্যাট করতে নেমে ১২৩ বলে ১০৫ রান করেন। সাতটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। দলের বাকিরা মিলে ১০০ রানও করতে পারেননি। তাদের ব্যর্থতায় ৪৭.২ ওভারে ২১৩ রানে অলআউট হয় অগ্রণী ব্যাংক। তাদের ধসিয়ে দিতে পেসার এবাদত ও স্পিনার মিরাজ তিনটি করে উইকেট নেন। নাসুম ও তাইজুল দখল করেন দুটি করে উইকেট।
মিরপুর স্টেডিয়ামে এদিন অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়ী আজিজুল হাকিম তামিম ও জাওয়াদ আবরারদের গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৪১ ওভারে ১৭৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। জাওয়াদ ৩৭ রান করেন। সাকিব শাহরিয়ার ৩৮ রান যোগ করেন। ফরহাদ রেজা ২২ রান করেন। জবাবে নামা শাইনপুকুর ৪৩ ওভারে ১৭৩ রানে অলআউট হয়। নাহিদ উজ্জামান ও আজিজুল তিনটি করে উইকেট নেন।