সেই বহুল আলোচিত ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যে ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্বাধীনতা’ ঘোষণা করবেন বলে এত দিন ধরে নানা আওয়াজ তুলেছেন—সেই রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্কের ঘোষণা অবশেষে দিলেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ট্রাম্প এই ঘোষণা দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত সত্যনিষ্ঠ। এত দিন ধরে শুল্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ–সংক্রান্ত যত অঙ্গীকার করেছেন, তার প্রায় শতভাগ তিনি বাস্তবায়ন করেছেন। প্রথম জমানায় যেমন করেছেন, তেমনি দ্বিতীয় জমানায়ও করছেন; এ ধারা চলতি জমানায় অব্যাহত থাকবে বলেই  ধারণা করা যায়।

যে দেশ আমেরিকার পণ্যে যতটা শুল্ক চাপিয়ে থাকে, ২ এপ্রিল থেকে সেই দেশের পণ্যে পাল্টা তার উপযুক্ত হারে শুল্ক আরোপের কথা জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দিনটিকে আগেই আমেরিকার ‘স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি। বুধবার আমেরিকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী বিকেল চারটায় (বাংলাদেশের রাত দুইটা) এই ‘পাল্টা’ বা ‘পারস্পরিক শুল্ক’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি যা যা বলেন, তা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে রীতিমতো বোমাবর্ষণের শামিল।

কথা ছিল যে দেশ মার্কিন পণ্যে যত শুল্ক আরোপ করে, সেই দেশের পণ্যে ঠিক ততটাই শুল্ক আরোপ করা হবে। কিন্তু ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তা করতে পারতাম; কিন্তু তাতে অনেক দেশ কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়বে।’ চীনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, চীন মুদ্রা কারসাজিসহ বাণিজ্যবাধা সব মিলিয়ে মার্কিন পণ্যে ৬৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে; যুক্তরাষ্ট্র করবে তার প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ৩৪ শতাংশ। সব দেশের বেলায় কমবেশি এই নীতি অবলম্বন করা হয়েছে। ফলে এ ঘটনায় বিপর্যস্ত হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন ট্রাম্প। সব দেশের পণ্যে গড়ে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews