বেশ কিছুদিন সাত কলেজ ছিল সংবাদ শিরোনাম। দুই ভিসির রশি–টানাটানির কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছিনতাই হয়ে সাত কলেজ ঢুকেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু সেখানেও তার মর্যাদা ছিল না। স্ট্যাটাস ছিল দ্বিতীয় পক্ষের মতো। তো তারা মর্যাদা পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করল। লড়াই মানে রাস্তা আটকে মানুষকে যত বেশি কষ্ট দেওয়া যায়। এটি করতে পয়সা খরচ হয় না। ওই সময় তিতুমীর কলেজের ছাত্ররা তাঁদের কলেজে সাইনবোর্ড লাগিয়ে ঘোষণা দিয়ে দিলেন—তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়। উল্লেখ করা যেতে পারে, একাত্তরের আগে এই কলেজের নাম ছিল জিন্নাহ কলেজ। যাহোক, পরে অনেক আলোচনা-সংগ্রামের পর ঠিক হলো সাত কলেজ নিয়ে আলাদা একটি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তার নাম নিয়েও মতভেদ দেখা দিল। 

সাম্প্রতিক খবর হলো, সাত কলেজের এই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একজন অন্তর্বর্তী প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁর সদর দপ্তর হবে ঢাকা কলেজে। প্রশাসকের দপ্তর কোথায় হবে, এ নিয়ে এখনো কলেজ জাতীয়তাবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেনি বলে স্বস্তি পাচ্ছি। 

ফিরে আসি সুচিত্রা সেন প্রসঙ্গে। সুচিত্রা আমাদের তিন জেনারেশনের ক্রাশ। এ দেশের বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকের কাছে তাঁর মতো জনপ্রিয় নায়িকা আর কেউ হয়েছেন বলে জানি না। কী কারণে তাঁকে ছেঁটে ফেলা হলো, এর কারণ বোঝার চেষ্টা করছি। তিনি তো আওয়ামী লীগ করতেন না। স্বৈরাচারের দোসরও ছিলেন না। তবে তাঁর দুটো মস্ত অপরাধ, যা কারও কারও কাছে ক্ষমার অযোগ্য। প্রথমত, তিনি হিন্দু। দ্বিতীয়ত, তিনি ভারতীয়। অবশ্য জন্মসূত্রে ‘বাংলাদেশি’ হলেও মাফ পেতেন না। যেমন পাননি প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার কিংবা জগদীশচন্দ্র বসু। যাঁরা নাম পাল্টেছেন, তাঁরা হয়তো এই দুজনের নামই শোনেননি।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews