বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। রাজনীতি, ব্যবসা, খেলা, পরিবার— সবই একসঙ্গে সামলাতে হয় এই অলরাউন্ডারকে। দেশে থাকলে এসব সামলিয়ে আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সময় দিতে পারেন না তিনি। এ কারণে ফেসবুকে তাকে নিয়ে চলা নানা আলোচনা-সমালোচনাও তার নজরে সেভাবে আসে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকলে অধিকাংশ সময়ই ফেসবুকে কাটান সাকিব আল হাসান। তখন নাকি সাকিবের ‘হাসি পায়’ তাকে নিয়ে করা সমালোচনা দেখে- এমনটাই জানালেন তিনি।
আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাকিব খেলবেন কি না? খেললেও দুটি না কি তিনটি ম্যাচ? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময়ে চলবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। এ সময় সাকিব খেলবেন শেখ জামালের হয়ে। সেখানে দুই ম্যাচ শেষ করে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। এসব বিষয় নিয়ে সাকিবের বক্তব্য, এগুলো নিয়ে এতো কথা হওয়ার কিছু নেই। আমাদের আসলে জাতিগত কিছু সমস্যা আছে।
মূলত ফেসবুকে সাকিবকে নিয়ে এখন এত আলোচনার কারণ হচ্ছে জিম্বাবুয়ের সিরিজের সময় ডিপিএলে খেলা নিয়ে। যেখানে মুস্তাফিজকে আইপিএল রেখে দেশের হয়ে খেলতে আসতে হচ্ছে সেখানে সাকিব কেনো দেশের খেলা চলাকালীন ক্লাবে খেলবেন। এগুলো খোলাসা করলেন সাকিব নিজেই। যুক্তরাষ্ট্রে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানে জানালেন, সবকিছু কোচ ও নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনা করেই হয়। নিজের মতো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না।
বর্তমানে আমেরিকাতে অবস্থান করা সাকিব একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জানান বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করেই এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সময় সাকিব বলেন, ‘আমেরিকায় থাকলে ফেসবুকে বেশি সময় কাটানো হয়, দেশে থাকলে সময় পাই না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব দেখলে আমার একটু হাসিই পায় যে মানুষ কত রকম চিন্তা করতে পারে। যা হয়েছে বিসিবি আর আমার আলোচনার মধ্যেই হয়েছে। কারণ, আমাদের অন্যান্য খেলোয়াড়দেরও দেখা জরুরি। বিভিন্ন ধরনের কম্বিনেশন তৈরি করতে হলে আমাদের কী অবস্থায় থাকতে হবে, সে প্রস্তুতিটা নিতে পারি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আসলে এগুলো আলোচনার মাধ্যমেই হয়, আমার ইচ্ছামতো হয় না। যেহেতু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুটি ম্যাচ থাকবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচ খেলার আগে। সেহেতু দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে, এ ছাড়া প্রস্তুতিটাও ভালো হবে। সে কারণে আসলে এই দুইটা ম্যাচ খেলা। এখানে এর বেশি নাই।’