পাঁচ দশক ধরে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় আছে বাংলাদেশ। এলডিসিতে থাকা দেশগুলো মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে পিছিয়ে থাকা দেশ। স্বল্পোন্নত দেশগুলো যাতে এগিয়ে যেতে পারে এবং নিজেদের উন্নতি করতে পারে, সে জন্য উন্নত দেশগুলো নানা ধরনের সুবিধা দেয়।
বাংলাদেশ নানা ধরনের যাচাই–বাছাই পেরিয়ে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য সময় নির্ধারণ করেছে। তবে বাংলাদেশ এখন এই সময়সীমা কিছুটা পিছিয়ে দিতে চায়।
এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে একটি দেশের মানমর্যাদা আরও বৃদ্ধি পায়। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ হয়। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারী আস্থা রাখতে পারেন। একটি দেশের সমৃদ্ধি বিবেচনা করা হয় দেশটি কোন শ্রেণিতে আছে, এর ওপর।
অন্যদিকে এলডিসি তালিকায় থাকলে ওই দেশকে নানা ধরনের সুবিধা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয় উন্নত দেশগুলো। এটি অনেকটা পরনির্ভরশীলতায় থাকার মতো বিষয়।