ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলজুড়ে প্রবল বর্ষণের ফলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে গত দুই দিনে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আসাম, অরুণাচল, মেঘালয়, মণিপুর ও মিজোরাম রাজ্য। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
রোববার (১ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো ভারী বর্ষণ, ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত দুই দিনে এসব কারণে কমপক্ষে ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু গতকাল শনিবারেই ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আসামের ১২টি জেলার প্রায় ৬০ হাজার মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এদিকে আসামের কামরূপ মেট্রোপলিটন জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ভূমিধসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গোয়াহাটির উপকণ্ঠে বন্ডা এলাকায় ভূমিধসে আরো তিনজন নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজ্যের নগর উন্নয়নমন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বড়ুয়া।
অপরদিকে, অরুণাচল প্রদেশে ভূমিধস ও হঠাৎ বন্যায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ইস্ট কামেং জেলার বানা-সেপ্পা সড়কে, সেখানে দুই পরিবারের সাত সদস্য একসাথে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রবল ভূমিধসের সময় তাদের গাড়িটি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে এবং পানির তোড়ে ভেসে যায়।
গত শুক্রবার আসামের গৌহাটিতে ৬৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এদিন আসামে ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে শহরের একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। ব্রহ্মপুত্রসহ বেশ কিছু নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে ভারতের আবহাওয়া দফতর আসামের কিছু অংশে রেড ও অরেঞ্জ অ্যালার্ট এবং বাকি উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে অরেঞ্জ ও ইয়েলো অ্যালার্ট জারি করেছে।