এই প্রচণ্ড গরমে রসালো ফল তরমুজ হতে পারে প্রশান্তিদায়ক। পানি এবং প্রাকৃতিক শর্করা সমৃদ্ধ তরমুজ আমাদের হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। লাইকোপেন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় ফলটি থেকে। তরমুজকে আরও সুস্বাদু ও পুষ্টিকর করে তুলতে অতিরিক্ত কয়েকটি উপাদান যোগ করতে পারেন।
- তরমুজের টুকরোর উপর ছিটিয়ে দিন এক স্লাইস লেবুর রস। ভিটামিন সি বৃদ্ধির পাশাপাশি সতেজতা যোগ করবে লেবুর রস। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়া লেবুর টক স্বাদ তরমুজের প্রাকৃতিক মিষ্টতাকে সুন্দরভাবে ভারসাম্যপূর্ণ করে।
- অতিরিক্ত পুষ্টি পেতে চাইলে এক মুঠো তাজা পুদিনা পাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন তরমুজ। পুদিনা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। হজমে সাহায্য করতেও এর জুড়ি নেই। এর ঠান্ডা, তাজা স্বাদ তরমুজের মিষ্টি রসালো স্বাদের সাথে পুরোপুরি মিশে একটি সতেজ স্বাদ তৈরি করে।
- তরমুজের সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন চিয়া বীজ, এতে ফাইবার এবং ওমেগা-৩ মিলবে। স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিনের চমৎকার উৎস চিয়া বীজ। তরমুজের সাথে মিশিয়ে নিলে ফলের আর্দ্রতা শোষণ করে ছোট্ট এই বীজ। ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো মূল্যবান পুষ্টিও যোগ করে।
- হাইড্রেটিং এবং ঠান্ডা করার জন্য তরমুজের সঙ্গে শসার টুকরো মিশিয়ে নিন। শসায় প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে যা তরমুজের মতোই হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এগুলোতে ক্যালোরি কম, ফাইবার বেশি। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে শসা।
- মিষ্টি এবং সুস্বাদু স্বাদ পেতে তরমুজের উপর কিছু ফেটা চিজ গুঁড়া করে দিয়ে দিন। লবণাক্ত ফেটা তরমুজের মিষ্টতাকে পরিপূরক করে, প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম যোগ করে। চিজ মিশ্রিত তরমুজ রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ভিটামিন কে সরবরাহ করে, যা রক্ত জমাট বাঁধা এবং হাড়ের শক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।