ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী লোহিত সাগরে একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ও তেলআবিবের কাছে ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে নতুন করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, অধিকৃত জাফার অঞ্চলে অবস্থিত একটি ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে, যা সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে।
ইয়েমেনি মুখপাত্র জানান, এছাড়াও ইয়েমেনি বাহিনী উত্তর লোহিত সাগরে অবস্থান করা মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যানসহ শত্রুপক্ষের কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্যে একাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় লক্ষ্যবস্তুগুলো সুনির্দিষ্টভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
তার ভাষায়, ‘এই হামলাগুলো নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের সাহসী মুজাহিদিনদের প্রতি সংহতি প্রকাশের অংশ। এটি গাজায় চলমান গণহত্যার প্রতিক্রিয়া’।
ইয়াহিয়া সারি এ সময় জোর দিয়ে বলেন, ‘ইয়েমেন একটি অপরাজেয় জাতি। আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের পাশে দৃঢ়ভাবে থাকব’।
ইয়েমেনি মুখপাত্রের ভাষায়, ‘ইয়েমেন কখনো আমেরিকান আগ্রাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না এবং ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া ও গাজার অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহর সহায়তায় আমরা লোহিত সাগর ও আরব সাগরে ইসরাইলি জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেবো। একই সঙ্গে আমেরিকান শত্রুকে প্রতিহত করব এবং ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে সমর্থন চালিয়ে যাব। যতক্ষণ না যুদ্ধ বন্ধ হয় এবং গাজার অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়’।
এদিকে ইয়েমেনের এই পালটা হামলার আগে দেশটির আল-মাসিরাহ টিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমান হামলায় ইয়েমেনের হোদাইদা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে চারজন শিশু ও দুজন নারীও রয়েছেন।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করছে। সূত্র: ইরনা ও মেহের নিউজ