রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর ও সাবেক সভাপতি মুসতাক আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার জনসংযোগ দফতর প্রশাসক অধ্যাপক মো: আখতার হোসেন মজুমদার সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, রোববার (৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে বিভাগের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষার বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগসমূহ খতিয়ে দেখে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রদানের জন্য গঠিত কমিটির রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে কতিপয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’
এসব ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে, পরবর্তী পদোন্নতির তারিখ হতে পাঁচ বছরের জন্য তার পদোন্নতি ও বেতনের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। তিনি পাঁচ বছর কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। বিভাগের পাওনাদি পত্র ইস্যুর ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। পাঁচ বছর তিনি অন্য কোথাও চাকরি বা খণ্ডকালীন শিক্ষকতা/কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং এই পাঁচ বছর সক্রিয় চাকরি হিসেবেও গণ্য করা হবে না।
উল্লেখ্য, গত বছর ১ সেপ্টেম্বর অর্থ আত্মসাৎ, নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি, ছাত্রলীগ নেতাকে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র প্রদান, একাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে মুসতাক আহমেদকে চাকরিচ্যুত ও অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বিভাগের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। মুসতাকের অপসারণ দাবিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের সামনে একটি ব্যানারও টাঙানো হয়েছে। একইসাথে ওই অধ্যাপকের ব্যক্তিগত চেম্বারে তালা ঝুলিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।