ছয় দিন চিকিৎসাধীন থাকা চুয়াডাঙ্গার ট্রাক দুর্ঘটনার শিকার যুবক ইয়াসিন আরাফাত (২৪) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠের সামনে ট্রাক দুর্ঘটনায় তার দুই পা পিষ্ট হয়ে যায়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ইয়াসিনের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এর আগে, বুধবার (২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ক্যান্সার আক্রান্ত মাকে রেখে চলে গেলেন এই তরুণ।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি হাজিপাড়ার বাসিন্দা ইয়াসিন আরাফাত ছিলেন একজন বেসরকারি ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য নিরলস পরিশ্রম করতেন। সন্তানের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ পরিবার। ছেলের অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না অসুস্থ মা।
জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ বিকেলে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি বালিভর্তি ট্রাক ইয়াসিনকে ধাক্কা দেয়। এতে তার দুই পায়ের ওপর দিয়ে ট্রাকের চাকা চলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান। সেখানে ছয় দিন চিকিৎসাধীন থেকে গেল বুধবার রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
ইয়াসিনের চাচাতো মামা সজিব হোসেন জানান, ‘রাত পৌনে ১১টার দিকে ইয়াসিন মারা যান। তার চিকিৎসার জন্য অনেকেই আর্থিক সহায়তা করেছিলেন।’
ইয়াসিনের স্বজনরা জানিয়েছেন, তার মায়ের চিকিৎসার জন্য এখনো আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন। তারা সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন, যেন ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসা বন্ধ না হয়ে যায়।
ইয়াসিনকে বাঁচানো না গেলেও অন্তত তার মাকে বাঁচানোর জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।