বাংলাদেশ এখনো এই ফোরামে ঢুকতে পারেনি। আসিয়ানের সদস্যপদ পেলে আসিয়ান ও সার্কের মাঝে বাংলাদেশ সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবে বলে মালয়েশিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন। কিন্তু মুমূর্ষু সার্ককে ভারতের একরোখা নীতির চক্কর থেকে কি বের করা যাবে? আশার কথা, মালয়েশিয়া ২০২৫-এ আসিয়ানের সভাপতি হতে যাচ্ছে। কিন্তু এই আশা রোহিঙ্গা সংকটের টাইম বোমাকে কি নিষ্ক্রিয় করতে পারবে?
জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের প্রতিবেশী-ভাগ্য সুপ্রসন্ন নয়। এক প্রতিবেশী বাংলাদেশের সবকিছুতে হস্তক্ষেপ করাকে তার মৌলিক অধিকার মনে করে। অপর প্রতিবেশী দূরত্ব বজায় রাখার মাঝেই কৃতিত্ব অনুভব করে। বেশ কিছু আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ সদস্য। সেগুলোর কোনোটি মৃতপ্রায়। আর কোনোটিতে বাংলাদেশ হয় অতি নীরব-নিষ্ক্রিয়, নয় বাংলাদেশের কথা সেখানে পাত্তা পায় না। এমন অবস্থায় আসিয়ানের সদস্যপদ অর্জন করলে তা থেকে বাংলাদেশ কতটুকু লাভবান হবে, সেটি একটি প্রশ্ন।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে আসিয়ানের কথায় আসা যাক। কেন আসিয়ানের বিদ্যমান নীতিতে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশের আশা করার কোনো কারণ নেই, তা দেখা যাক।