আমি অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এই নিবন্ধটিতে এমন একজন বিস্ময় নারীকে নিয়ে লিখছি, সাহসিকতা, নাটকীয়তা ও সংকল্পের জন্য যাঁকে বিশ্বকে অবশ্যই স্মরণ করা উচিত। তিনি লায়লা খালেদ। ১৯৭০-এর দশকে আমিসহ হাজার হাজার কিংকর্তব্যবিমূঢ় কিশোর-কিশোরীর কাছে তিনি ছিলেন অনুপ্রেরণার উৎস।
ইংল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি শ্রমজীবী সমাজে কঠোর জীবন সংগ্রামের মধ্যে বেড়ে উঠেছিলেন লায়লা খালেদ। চেহারা ছিল খুবই হ্যাংলা-পাতলা। অনেকটা আন্ড্রু হেপবর্নের মতো দেখতে। সে কারণেই লায়লাকে যখন একে-৪৭ হাতে নির্ভীক চেহারায় দেখা গেল, তখন বিশ্বজুড়ে অগণিত কিশোরী ও তরুণীর কল্পনায় তিনি বন্দী হয়ে গেলেন।
ফিলিস্তিনি দুর্দশাকে তিনি বৈশ্বিক আলোচনার কেন্দ্রে এনেছিলেন। আমাদের মতো যাঁরা ট্যাবলয়েডের শিরোনামের বাইরে কিছু পড়তে বিরক্ত হতাম, তাঁরাই আজীবনের জন্য ফিলিস্তিনিদের ন্যায়বিচারের দাবিতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সে সময়ে আমি প্রথম ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রথম একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছিলাম।