দীপঙ্কর সেনের দাবি, ‘আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, সম্ভবত এত উচ্চতায় বাঁধ করা যায় না। দ্বিতীয়ত, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে নির্মাণ করা যায় না। আমি ওই অঞ্চলে গিয়েছিলাম। সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন, এই বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।’
উত্তর বিলোনিয়াসহ অন্যান্য অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন দীপঙ্কর সেন। তিনি বলেন, এসব অঞ্চলের মানুষ তাঁকে বলেছেন, ওই অঞ্চল থেকে খাল কেটে জল অন্য নদীতে ফেলে তা শহরের বাইরে নেওয়া সম্ভব। তবে সরকার কী করবে, সে সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি তিনি।
দীপঙ্কর বলেন, ‘আমি জানিয়েছি, এখন দেখা যাক কী হয়।’
সরকারি হিসাবমতে, গত বছরের বন্যায় ত্রিপুরার বিভিন্ন অঞ্চলের ১৭ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। মৃত্যু হয়েছিল ৩৮ জনের। বিষয়টি মাথায় রেখে ত্রিপুরার পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের সচিব কিরণ গীত্বর নেতৃত্বে একটি সরকারি দল গত রোববার ঘটনাস্থলে যায়।
গীত্বকে উদ্ধৃত করে ভারতের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা জানিয়েছে, ‘রাজ্যে গত বছর অবিশ্বাস্য বন্যা হয়েছিল। প্রচুর ছোট বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল অথবা ভেঙে পড়েছিল। সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছিল দক্ষিণ ত্রিপুরায়, যা মেরামতের কাজ এখনো চলছে। যাবতীয় মেরামতকাজ আগামী দুই মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।’