করোনা মহামারিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও পরীক্ষার অজুহাতে শিক্ষার্থীদের জোর করে টিউশন ফি আদায় করছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। টিউশন ফি আদায়ে শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠান উভয়কে সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। টিউশন ফি আদায়ের বিষয়ে স্কুল কলেজগুলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

২১ অক্টোবর বুধবার শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে (ভার্চুয়াল) শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এসব কথা বলেন। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক, শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের থেকে জোর করে টিউশন ফি আদায় করছে। টিউশন ফি না দিলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না বলেও বলা হচ্ছে। তবে পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেই। আশা করি, প্রতিষ্ঠানগুলো মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করবে।’

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে যারা অর্থিক সংকটে পড়েছেন তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সামর্থ্য অনুযায়ী টিউশন ফি পরিশোধ করবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের বেতন, প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য অর্থ ব্যয় হচ্ছে। সে জন্য টিউশন ফি পরিশোধ না করলে কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। উভয়কেই এ বিষয়ে সহনীয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

তবে টিউশন ফি সংক্রান্ত দ্রুত একটি নির্দেশনা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেয়া হলে সেটি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

করোনার কারণে বন্ধ থাকা সারাদেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা হবে না। এর পরিবর্তে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশন দেয়া হবে।

মন্ত্রী জানান, ৩০ দিনের মধ্যে শেষ করা যায় এমন সিলেবাস তৈরি করেছে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। এই সিলেবাসটি সব প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের সেই সিলেবাসের ওপর প্রতি সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা সেই অ্যাসাইনমেন্ট করে স্কুলে জমা দেবেন। শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবেন। কোনো মার্কিং বা গ্রেডিং দেয়া হবে না।

উদাহরণ টেনে মন্ত্রী বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী সপ্তম শ্রেণিতে উঠতে নূ্যনতম যতটুকু শিখনফল অর্জন করতে হয় তা নিশ্চিত করতেই এই পদ্ধতি। শিক্ষার্থীরা যে ক্লাসে এখন পড়ছে সেই শ্রেণিতে কাঙি্ক্ষত শিখনফল অর্জনই আমাদের লক্ষ্য। সূত্র : জাগো নিউজ।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews