গত বছর ৯ মে পাকিস্তানজুড়ে দাঙ্গার সময় সামরিক স্থাপনায় সহিংস হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২৫ বেসামরিক ব্যক্তিকে দুই থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছে সামরিক আদালত। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের গ্রেপ্তার পরবর্তী সময়ে ৯ মে’র দাঙ্গা ঘটেছিল।
আইএসপিআর ওই দাঙ্গাকে ‘রাজনৈতিকভাবে পরিচালিত হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে যেখানে সশস্ত্র বাহিনীর স্থাপনায় হামলা এবং ‘শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভের অবমাননা’ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে সামরিক আদালতে বিচার কার্যক্রমের অনুমতি পাওয়ার পর ওই ব্যক্তিদের দোষী সাব্যস্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
‘ব্ল্যাক ডে’ নামে পরিচিত সেই দিনের পর তদন্তকারীরা অকাট্য প্রমাণ সংগ্রহ করেন এবং অভিযুক্তদের বিচার করার জন্য আইন অনুযায়ী মামলাগুলি ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শালের কাছে পাঠানো হয়।
দোষী সাব্যস্ত হওয়া ২৫ জনের মধ্যে ১৪ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে যাদের বেশিরভাগই জিন্নাহ হাউজে দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত।
আইএসপিআর জানিয়েছে, ‘অপর অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে এবং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে শিগগিরই তা ঘোষণা করা হবে।’
আইএসপিআর এই শাস্তিকে ‘একটি কড়া সতর্কবার্তা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে যারা স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক অপপ্রচার এবং মিথ্যা তথ্যের ফাঁদে পড়ে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়।
রায় ঘোষণার পর পিটিআইয়ের যুক্তরাষ্ট্র শাখা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দাবি করে,সামরিক কর্মকর্তারা বিচারক হিসেবে কাজ করে সামরিক আদালতে বেসামরিকদের শাস্তি দিয়েছেন।
তাদের অভিযোগ, এই বেসামরিক নাগরিকদের এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কঠিন অবস্থায় আটক রাখা হয়েছে। অনেককে অত্যাচারের মাধ্যমে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছে।