আবদুর রশিদ বলেন, সংসারে অভাবের কারণে রাসেল দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে আর বিদ্যালয়ে যায়নি। দেড় বছর ধরে নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করছিল। ছয়-সাত হাজার টাকা বেতনের সেই চাকরি। গত কোরবানির ঈদের ছুটি শেষে নারায়ণগঞ্জে ফিরে যায় রাসেল। আর এবার সে বাড়িতে ফিরে এল লাশ হয়ে।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৯ জুলাই বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ডিআইটি রোডের দেওভোগ মার্কেটের ২ নম্বর গেটের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয় কিশোর মো. রাসেল। গুরুতর আহত অবস্থায় রাসেলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাসেলের বুকে একটি বুলেট বিদ্ধ হয়েছিল। ২১ জুলাই তার শরীরে অস্ত্রোপচার করে বুলেট বের করা হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ জুলাই (সোমবার) সে মারা যায়। ২৩ জুলাই দুপুরে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। পরে ওই দিনই লাশ দাফন করা হয়েছে।