এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা (৩৭) ওই দিন রাতেই বরগুনা সদর থানায় সিজিত রায়সহ দুজনের নামে ধর্ষণের মামলা করেন। পরের দিন স্থানীয় জনতা দুজনকে ধরে পুলিশে দেয়। পুলিশ সিজিতকে আটক করে এবং তার বন্ধুকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়। কিশোরীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে এবং ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে শাসাতে থাকে আসামিপক্ষ। এরপর ১১ মার্চ কর্মস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হন কিশোরীর বাবা। ওই দিন রাত সোয়া ১২টার দিকে মুঠোফোনের রিংটোনের সূত্র ধরে বাড়ির পাশের ঝোপ থেকে কিশোরীর বাবার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামির বাবাসহ চারজনকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল শনিবার কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, এসব ঘটনার ধকলে সেই কিশোরী এখন নির্বাক। সে খাবার খাচ্ছে না, সারাক্ষণ চুপচাপ থাকছে, কারও সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলছে না। শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে আর নীরবে চোখের পানি ফেলে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারটির সবাই দিশাহারা। প্রতিবেশী ও অন্যরা সাময়িকভাবে তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করলেও দীর্ঘ মেয়াদে কীভাবে সংসার চলবে, তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। টাকার অভাবে কিশোরীকে চিকিৎসকের কাছেও নিতে পারছেন না বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews