বশীকরণ (কুফুরি কালাম) করে নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে (১৪) তার ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেছেন খবির মোল্লা নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় খবিরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রিয়াজউদ্দিনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, খবির মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার স্কুলপড়ুয়া কিশোরীদের টার্গেট করে বশীকরণ করে আসছিল বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
ওই কিশোরীর মা বলেন, আমার মেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে বলে ওঠে আমার হাত-পা সব পুড়ে যাচ্ছে, ওই খবিরই আমার হাত-পা পুড়িয়ে দিচ্ছে; এসব কথা বলতে বলতে আমার মেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল। জোর করে খবির মোল্লার বাড়িতে চলে যেতে চায় সে, কিছুতেই ঘরে রাখা যাচ্ছিল না। তখন এলাকার কিছু মানুষের সহযোগিতায় আমার মেয়েকে বুঝিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি।
পরে সোমবার দুপুরের দিকে আবার একই কথা বলে খবিরের বাড়িতে যেতে চায় সে। তার এরকম অস্বাভাবিক আচরণে গ্রামের মানুষ তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলে সে খবিরের সঙ্গে বোঝাপড়া আছে বলে তার কাছে আবারও যেতে চায়। একপর্যায়ে কিশোরী খবিরের বাড়িতে চলে যায়। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন।
পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন মিলে বাড়িতে এসে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে সেখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং খবিরকে আটক করে। এ সময় স্থানীয় জনতা খবিরকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গণধোলাই দিয়ে গুরুতর আহত করেন।
সেখান থেকে পুলিশ খবিরকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালেই আছেন।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে জানতে পারি এক যুবক ও কিশোরীর বাগবিতণ্ডার কথা। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ওই আহত যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কোনো অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, খবির মোল্লা এর আগেও কুফরি কালাম (বশীকরণ) করে একাধিক কিশোরীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছিলেন। ২০১৫ সালে দুই কিশোরীকে বশীকরণ করলে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। একপর্যায়ে তারা মৃত্যুবরণ করে বলেও জনশ্রুতি আছে।