চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) সোয়েব উদ্দীন খান, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল, আবু বকর সিদ্দিক, আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ মোস্তফা, এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ ও নুসরাত জাহান জিনিয়া।

এ ছাড়া উপ-পুলিশ কমিশিনার (প্রসিকিউশন) হুমায়ুন কবির, উপ-পুলিশ কমিশিনার (উত্তর) আমীরুল ইসলাম, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি সাকিব শাহরিয়ার, চমেক পরিচালকের প্রতিনিধি ডা: জুনায়েদ আহমেদ, ফরেনসিক মেডিসিনের ডা: খালেদ হাসান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির আহবায়ক এ কে এম মকবুল কাদের চৌধুরী, এডহক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ শামসুল আলম ও মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মফিজুল হক ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন।

গত ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত এ কনফারেন্সে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) সাইকুল আহমেদ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন, ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ, পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, সিনিয়র জেল সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৬টি থানার অফিসার ইনচার্জ, মহানগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রবেশন কর্মকর্তাসহ অন্যান্য অংশীজন।

কনফারেন্সের শুরুতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান বিগত সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে বিচারাধীন মামলাসমূহের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জদের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। আদালতে আসা-যাওয়ার পথে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের দক্ষতার সাথে তদন্তকাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। তিনি মামলার সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিত করতে এবং সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধানে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কার্যকর ভূমিকা পালনের বিষয়ে নির্দেশনা দেন। চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্বের চেয়ে দ্রুত মেডিক্যাল সনদ দেয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধি ডা: জুনায়েদ আহমেদের মাধ্যমে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির আহবায়ক আইনজীবী এ কে এম মকবুল কাদের চৌধুরী আদালত এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং আদালতে আসা-যাওয়ার পথে অস্থায়ী ভাসমান দোকান যাতে বসতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা জন্য অনুরোধ করেন।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেন তদন্তকাজে আরো সচেতন হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক চট্টগ্রাম মহানগরীতে চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আইন-শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ আইনের যথাযথ প্রয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আমীরুল ইসলাম এবং পুলিশ প্রসিকিউশনের উপ-পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির নিয়মিত পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় বিচার প্রশাসন, নির্বাহী বিভাগ, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ একে অপরের পরিপূরক। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। সামনের দিনগুলোতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় আরো গতিশীলতা আসবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে কনফারেন্সের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews