ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি কত বেড়েছে, সেটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি। তবে মার্চে বিসিবির সাধারণ সভায় ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক–সংক্রান্ত যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটি বিভিন্ন সূত্রে সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে। গ্রেডিং অনুসারে, তিন সংস্করণের বিবেচনার হিসাবে বেতন নির্ধারণ হয়। তবে এ বছর উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে ম্যাচ ফি। আগে একটা টেস্ট খেললে ম্যাচ ফি ছিল ৬ লাখ টাকা, ওয়ানডেতে ৩ লাখ। এ বছর সেটি বাড়িয়ে টেস্টে ৮ লাখ আর ৪ লাখ করা হয়েছে। অর্থাৎ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের কাছে যে দলটি ৩ উইকেটে হেরেছে, সেটির প্রত্যেক ক্রিকেটার ৮ লাখ টাকা করে পাচ্ছেন। ক্রিকেট ম্যাচে সব দল সব ম্যাচ জেতে না, সব খেলোয়াড় প্রতি ম্যাচে রান করেন না বা উইকেট পান না। এই এক ম্যাচের দুই ইনিংসে একবারও তিন শ না করতে পারা বা পুরো ম্যাচে মাত্র তিনটি ফিফটি ও জিম্বাবুয়ের কাছে হারের প্রসঙ্গ টেনে বেতনের কথা তোলাও হয়তো রূঢ় মনে হতে পারে। কিন্তু যখন আরও দূরে তাকাবেন, দেখবেন ঘরের মাঠে টানা ৬ টেস্টে হার, দেশের মাটিতে সর্বশেষ ৯ ইনিংসের ছয়বারই দুই শর নিচে অলআউট, তখন কেউ যদি ‘ডুয়িং নাথিং টেকিং মানি’ মনে করিয়ে দেয়, খুব কি ‘খোঁটা’ হয়ে যায় তা?