শেখ হাসিনার আমলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ অপকর্ম করলেও কোনো মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সময়ে এসে এত অপকর্ম করেও সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেলেন। তাহলে এই সরকার কাকে প্রটেকশন দিচ্ছে- এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ বৃহস্পতিবার খিলগাঁও এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই প্রশ্ন রাখেন। সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরীর বিচারের দাবিতে খুন ও গুমের শিকার পরিবারগুলো এই প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আপনি তো হাসিনার উত্তরসূরী, আপনিও তো তার মতো আপনার এলাকায় বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলেন, বিরোধী দল রাখতে চান নাই।
তিনি বলেন, খিলগাঁও এলাকায় সাবের হোসেন চৌধুরীর আমলে ১১ জন নেতাকর্মীকে গুম-খুন করা হয়েছে। তরুণ টগবগে যুবক জনিকে ১৬টি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমি কিভাবে জনির বাবার মা আর স্ত্রীর চোখের পানি মুছব? এমন টিস্যু পেপার এখনো তৈরি হয়নি। যার সন্তান চলে গেছে, তার চোখের পানি মুছার টিস্যু পেপার এখনো আবিষ্কার হয়নি।
জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা ও খুনি কারা ছিল- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এই সাবের হোসেন চৌধুরীরাই শেখ হাসিনার সহযোগী ছিলেন। তিনি তো স্বৈরাচার শেখ হাসিনার মাধ্যমে লালিত পালিত। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে র্যাব গুলি করেছে এবং র্যাবের লোগো সম্বলিত হেলিকপ্টার দেখা গেছে। এখন র্যাব যা বলছে তা অসত্য।
রিজভী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস হলেন বিপ্লব ও আন্দোলনের সরকার, জনগণ সমর্থন দিয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে ছাত্রলীগ যুবলীগের অপকর্মের কোনো মামলা হয়নি। থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। কিন্তু ডাক্তার ইউনূস সরকারের সময়ে এসে এত অপকর্ম করলেও সাবের হোসেন চৌধুরী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেলেন। তাহলে এই সরকার কাকে প্রটেকশন দিচ্ছে?
রিজভী বলেন, আমাদের ১৫ বছরের আন্দোলনের মূল ছিল আইনের শাসন ও স্বাধীন বিচার বিভাগ। অপকর্ম করলে পুলিশ মামলা নিবে সেটি আওয়ামী লীগ বা বিএনপি দেখে নয়। খিলগাঁও এলাকায় অসংখ্য নেতা-কর্মীকে খুন করা হয়েছে। এর জন্য কি সাবের হোসেন চৌধুরী দায়ী নন?