কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে এক পথশিশুকে অপহরণ করেন এক নারী। অপহরণের শিকার শিশু (০৬) প্রতিনিয়ত ওই নারীর স্বামীর ধর্ষণের শিকার হতেন। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই শিশুকে করা হতো শারীরিক নির্যাতন। ওই শিশুকে নির্যাতনের শব্দ শুনে এক প্রতিবেশী হাতেনাতে ধরলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। পরে ওই প্রতিবেশীর মামলায় গ্রেফতার হন অভিযুক্ত সেই দম্পতি।
মামলায় আসামি করা হয় শিশুকে (০৬) নির্যাতন করা সুমন ও সুমনের স্ত্রী রিনাকে। ভুক্তভোগী শিশুর পরিচয় জানা যায়নি। তবে ভিক্ষায় নিয়োগ করতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে তুলে এনেছিলেন বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত সুমনের স্ত্রী।
মামলার এজাহারে থেকে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় সুমন ও তার স্ত্রী ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে এক শিশুকে (০৬) অপহরণ করে তুলে নিয়ে আসে কুমিল্লা রেলওয়ে কোয়ার্টারের হারুন মিয়ার ভাড়া বাসায়। সেখানে তারা থাকতেন। বাসায় আনার পর স্ত্রী রিনা ঘরের বাইরে গেলেই সুমন বিভিন্ন সময় শিশুকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ওই শিশুকে সে কয়েকবার ধর্ষণও করে। নির্যাতনে চোখ-মুখ ফুলে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে সুমন ও রিনাকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলামকে বলেন, ওই যুবককে স্থানীয় জনতা গণপিটুনি দিলে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় আনলে এক প্রতিবেশীর মামলায় তাকে ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ