তিন অঙ্কের জাদুকরি ইনিংস খেলে দলকে জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান ও সাদমান ইসলাম। সোহানের সেঞ্চুরিতে ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব ৯৭ রানে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে। টেস্ট ওপেনার সাদমানের সেঞ্চুরিতে অগ্রণী ব্যাংক ৭ উইকেটে হারিয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেটার্সকে। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৫৭ রানে হারিয়েছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে। বিকেএসপি-৩ নম্বর মাঠে প্রথম ব্যাটিংয়ে ম্যাচসেরা নুরুল সোহানের অপরাজিত ১৩২ রানে ভর করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৭৭ রান করে ধানমন্ডি। ১৩১ বলের অপরাজিত ইনিংসটিতে ছিল ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কা। তিনি ছাড়াও দলটির পক্ষে ৪৫ রান করেন হাবিবুর রহমান সোহান ও ৪০ রান করেন সানজামুল ইসলাম। ২৭৮ রানের টার্গেটে সানজামুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ৪৫.৩ ওভারে ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় শাইনপুকুর। সানজামুলের বোলিং স্পেল ১০-১-৪৯-৪। শাইনপুুুকুরের পক্ষে রাহিম আহমেদ সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন। ৫ ম্যাচে ৩ জয়ে ধানমন্ডির পয়েন্ট ৬ এবং শাইনপুকুর ৪টি হেরেছে। বিকেএসপি-৪ নম্বর মাঠে সাদমানের সেঞ্চুরিতে অগ্রণী ব্যাংক ৩১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে। অমিত মজুমদারের ৮১ ও আসাদুল্লাহ আল গালিবের ৫৭ রানে ভর করে রূপগঞ্জ ২৬০ রান করে। অগ্রণীর পক্ষে রুয়েল মিয়া ও তাইবুর রহমান ৩টি করে উইকেট নেন। ২৬১ রানের টার্গেটে জিততে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন সাদমান ১১৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। ১০৯ বলের ইনিংসটিতে ১১টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল। এ ছাড়া ৫৭ বলে ৬২ রান করেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েশ। অধিনায়ক ইমরুলের এটা ৫ ম্যাচে চার নম্বর জয় এবং রূপগঞ্জ ক্রিকেটার্সের টানা পঞ্চম হার।
মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৫৭ রানে হারিয়েছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে। প্রথম ব্যাটিংয়ে গুলশান ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২১ রান করে গুলশান। আজিজুল হাকিম ৬২ রান করেন। জবাবে পারটেক্স ৪৩.২ ওভারে ১৬৪ রান করে। গুলশানের এটা ৫ ম্যাচে তৃতীয় জয় এবং সমান সংখ্যক ম্যাচে পারটেক্সের চতুর্ত হার।