১৯৮০-এর দশকে ব্যাংক অব ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ইন্টারন্যাশনাল (বিসিসিআই) ও তার করিতকর্মা চেয়ারম্যান আগা হাসান আবেদির সঙ্গে স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিশেষ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্পর্কটা যে কতটা বিশেষ, তা খুব কম মানুষই জানতেন।
এরশাদের আত্মীয়দের চাকরির প্রয়োজন হলে আবেদি গোপনে তাঁদের উচ্চ বেতনে বিসিসিআইয়ের হংকং, ব্রিটেন ও কানাডা শাখায় নিয়োগ দিতেন। এরশাদও প্রতিদান দিতেন। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ ব্রুনেইয়ের লাভজনক ব্যাংকিং খাতে ব্যবসা করতে আবেদির কূটনৈতিক আশ্রয়ের প্রয়োজন হলে এরশাদ সেই দেশে নতুন দূতাবাসই খুলে বসলেন এবং ব্যাংকের একজন ডাকসাইটে কর্মকর্তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেন। সে জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ ব্যয় হলো। বাস্তবতা হলো, ওই দূতাবাস কার্যত বিসিসিআইয়ের বিক্রয় কার্যালয় হিসেবেই মূলত ব্যবহৃত হয়, ঠিক দূতাবাস হিসেবে নয়।
এরপর ক্ষমতায় শেষ দিকে বিদেশি সহায়তার কমিশন ও কোটি কোটি ডলার অবৈধ অর্থ বিদেশে পাচার করার জন্য এরশাদের সহায়তা প্রয়োজন হলে এগিয়ে আসেন সেই আবেদি।