‘যুদ্ধই একমাত্র সমাধান’—এই বিশ্বাসে নিজেদের অটল রাখতে গিয়ে আজ আরও একবার আমাদের রাজনৈতিক নেতারা সংকটের পর সংকটের মধ্য দিয়ে বারবার হোঁচট খাচ্ছেন। তবে সে সময়কার নেতাদের সঙ্গে আজকের নেতাদের প্রধান পার্থক্য হলো, এই সময়ের নেতারা ভূতগ্রস্ত হয়ে ঘুমের মধ্যে হেঁটে হেঁটে যুদ্ধের ময়দানে যাচ্ছেন না। তাঁরা যা করছেন, তা চোখ মেলেই করছেন।
কয়েক মাস ধরে আমরা লাখ লাখ মানুষ গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য বিক্ষোভ করছি। আমরা বিক্ষোভ করছি, যাতে করে প্রাণহানি বন্ধ করা যায় ও সহিংসতার চিরস্থায়ী চক্রের অবসান ঘটে। কিন্তু আমাদের পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অপদস্থ করা হয়েছে। আমাদের চরিত্র হনন করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে দ্রুত সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যেই গত সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
এখন বোঝা যাচ্ছে, বিশ্ব চালানো বড় বড় শক্তি যদি এই লড়াইয়ে নিজেদের না–ও জড়ায়, তাহলেও ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের সর্বাত্মক যুদ্ধের মানবিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত পরিণতি সমগ্র বিশ্বের জন্য বিপর্যয়কর ডেকে আনবে।