ফ্যাটি লিভার বা যকৃতে অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা, যা সময়মতো প্রতিরোধ না করলে গুরুতর জটিলতায় রূপ নিতে পারে। আয়ুর্বেদভিত্তিক বেশ কিছু ভারতীয় ভেষজ উপাদান রয়েছে, যা প্রাকৃতিকভাবে যকৃতের কার্যক্ষমতা উন্নত করতে এবং ফ্যাটি লিভার স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সহায়তা করে। নিচে এমন ১০টি কার্যকর ভেষজ উপাদানের কথা তুলে ধরা হলো—

হলুদ
হলুদে থাকা কারকিউমিন যকৃতের প্রদাহ কমাতে, বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে এবং পিত্ত নিঃসরণ বাড়িয়ে যকৃতে চর্বি জমা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

আদা
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর আদা হজমে সহায়তা করে, বিপাকক্রিয়া বাড়ায় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফলে যকৃতে চর্বি জমার প্রবণতা কমে।

রসুন
রসুনে আছে প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক উপাদান, যা লিভারে জমা চর্বি কমাতে, এনজাইম উৎপাদন বাড়াতে ও বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে।

যষ্টিমধু
যষ্টিমধুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক গুণ লিভারের এনজাইম কমাতে এবং ফ্যাটি লিভার রোগের অগ্রগতি রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

আমলকি
ভিটামিন ‘সি’ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকি যকৃত পরিষ্কার রাখতে, প্রদাহ কমাতে ও লিপিড স্তর স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।

 গ্রিন টি
গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাটেচিনস ফ্যাট মেটাবলিজম বাড়ায়, লিভারের প্রদাহ কমায় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস রোধে সহায়ক, যা ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।

দারুচিনি
দারুচিনি রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ইনসুলিন প্রতিরোধ কমায় এবং যকৃতের চর্বি জমা প্রতিরোধে সহায়তা করে।

জিনসেং
জিনসেং যকৃতের বিষক্রিয়া দূর করতে, চর্বি জমা কমাতে এবং লিভারের এনজাইমের মাত্রা উন্নত করতে সহায়ক।

পুদিনা পাতা 
পুদিনা হজমে সহায়তা করে, পিত্ত নিঃসরণ বাড়ায় এবং যকৃতের সার্বিক কার্যক্ষমতা উন্নত করে। ফলে ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ সম্ভব হয়।

এই ভেষজ উপাদানগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে প্রাকৃতিকভাবে যকৃত সুস্থ রাখা এবং ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে। তবে যেকোনো নতুন উপাদান গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews