সৌদি আরবে দুই সপ্তাহের ক্যাম্পে দলের মধ্যে ঐক্য ও বনিবনা বেড়েছে বলে মনে করেন কাজেম শাহ কিরমানি।
গোল করে হামজার কাঁধে উঠতে চান আল আমিন
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরির বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনা শুরুর পর থেকেই এখানকার সমর্থকদের মনে রোমাঞ্চ খেলা করছে। তার পাশে মাঠে নামার অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ দলের অন্যরাও। তরুণ ফরোয়ার্ড আল আমিন যেমন জালে বল জড়িয়ে হামজার কাঁধে চেপে উদযাপনে মেতে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন।
ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের তৃতীয় রাউন্ডের বাছাই সামনে রেখে সৌদি আরবে ক্যাম্প শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রায় দুই সপ্তাহের নিবিড় প্রস্তুতি সেরে মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন জামাল-মিতুলরা। এই ক্যাম্পের ফলে দলের মধ্যে ঐক্য ও বোঝাপড়া বেড়েছে বলে মনে করেন মিডফিল্ডার কাজেম শাহ কিরমানি।
বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার ভাবনায় এখন প্রাধান্য পাচ্ছে ঢাকায় ফেরার পরের করণীয়। যদিও খুব বেশি সময় তিনি পাবেন না, কেননা ২৫ মার্চের ম্যাচটি খেলতে আগামী বৃহস্পতিবার শিলংয়ের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা দলের।
“প্রায় দুই সপ্তাহ এখানকার আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন পরিবেশে টেনিং করেছি। এজন্য সৌদি ফুটবল ফেডারেশনকে ধন্যবাদ, বিশেষ করে ট্রেনিং গ্রাউন্ড, আবাসনের জন্য। ঢাকায় সপ্তাহখানেক প্রস্তুতির পর এখানে অনুশীলনের দ্বিতীয় ধাপ শেষ করেছি। এবার আমরা ঢাকায় ফিরব পরবর্তী ধাপের জন্য, যেটা আমাদের চূড়ান্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ পর্ব হবে ভারত ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য।”
প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্টি, নানা দিকের উন্নতির কথা খেলোয়াড়, কোচদের কণ্ঠে গত কদিন ঘুরেফিরেই শোনা গেছে। কিরমানির বিশ্বাস, দলীয় বোঝাপড়া বেড়েছে তাদের।
“দলের জন্য এই ক্যাম্প খুব লাভের হয়েছে, আমি মনে করি, এটার ভীষণ প্রয়োজন ছিল। প্রায় দুই সপ্তাহ এখানে ট্রেনিং করেছি, আমাদের মধ্যে ঐক্য, বনিবনা বেড়েছে। এখানে যে প্রস্তুতি নিয়েছি, আশা করি সেটা আমরা ভারতের মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারব।”
“অবশ্যই ভারতের বিপক্ষে কিভাবে খেলব, তার একটা পরিকল্পনা আমাদের আছে। তবে মূল বিষয় হচ্ছে, পরস্পরকে সহযোগিতা করা, ভারতে গিয়ে যেটাই সামনে আসুক, সেটার জন্যই প্রস্তুত থাকা।”
ঘরেয়া ফুটবলে চলতি মৌসুম সাতবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছেন আল আমিন। এবার জাতীয় দলের আক্রমণভাগে আলো ছড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ পুলিশ এফসির এই সম্ভাবনাময় ফুটবলার।
“প্রথমবার যেহেতু দলে ডাক পেয়েছি, এখানে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় আছে, তাদের সাথে আমি যে মানিয়ে নিতে পেরেছি, এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। যদি আমার সুযোগ হয় সেরা একাদশে খেলার বা যদি দলে থাকি, ইনশাল্লাহ আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব।”
“যেহেতু দেশের মানুষ আমাদের ওপর ভরসা রাখছে, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। গোল করার ইচ্ছা আছে। যেভাবে হোক ভারতের বিপক্ষে জিততে হবে। যদি সুযোগ হয়, হামজা ভাইয়ের পাস থেকে আমি গোল করার চেষ্টা করব এবং গোল করে হামজা ভাইয়ের কাঁধে উঠব।”