সাঁওতালি স্যার নেই?
‘সাঁওতালি ভাষা শুনে স্যার বলছেন, কী যে বলিস ভাই’ (আবাপ ৪-৩) শিরোনামে সংবাদটি পড়ে দুঃখিত হলাম। শিক্ষার নামে এ কী রকম প্রহসন চলছে! জঙ্গলমহলের স্কুলগুলিতে সাঁওতালি না-জানা শিক্ষকদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল সাঁওতাল আদিবাসী ছেলেমেয়েদের সাঁওতালি ভাষার মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়ার জন্য।
এ রকম আরেকটি তুঘলকি কাণ্ড চলছে সরকারের ইদানীংকালে গ্রামাঞ্চলে ইংলিশ মিডিয়াম মডেল স্কুলগুলি স্থাপনের মধ্য দিয়ে। গ্রামের ছেলেমেয়েরা এমনিতেই ইংরেজিতে কাঁচা, তার উপর তাদের জন্য ক্লাস সিক্স থেকে ইংলিশ মিডিয়াম মডেল স্কুল চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের
অনুন্নত পশ্চিম মেদিনীপুর-বাঁকুড়া-বীরভূম-পুরুলিয়া প্রভৃতি জেলায়। আবার কারা পড়াচ্ছেন এ সব স্কুলে? বাংলা মিডিয়াম স্কুল থেকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা, যাঁদের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ানোর বিন্দুমাত্র অভিজ্ঞতা নেই।
যেমন সাঁওতালি ভাষা জানা উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের কি অভাব ছিল? তেমনই ইংলিশ মিডিয়াম থেকে পাশ করা যোগ্য বেকার শিক্ষকদের কি মডেল স্কুলে নিযুক্ত করা যেত না? এ কি সরকারের দলদাসদের পাইয়ে দেওয়ার নীতি?
সুরুচি সরকার। স্কুলডাঙা, বাঁকুড়া-৭২২১০১
সহায়িকা নেই
হাওড়া আমতার ১ নং ব্লকে আছে ২৬৪টি আই সি ডি এস কেন্দ্র। সব কেন্দ্রে আই সি ডি এস কর্মী থাকলেও ৪১টি কেন্দ্রে নেই কোনও সহায়িকা। সহায়িকা নেই মানে রান্না বন্ধ। এই অবস্থা চলে আসছে গত ৭-৮ মাস।
দীপঙ্কর মান্না। আমতা, হাওড়া