ফুলপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করেছে ছনধরা, সিংহেশ্বর, ফুলপুর সদর, বালিয়া ও রূপসী ইউনিয়ন থেকে। তবে পাঁচটি ইউনিয়নের ৩২টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী। শুকনা চিড়া-মুড়ি খেয়ে দিন পার করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে বন্যাকবলিত গ্রামগুলোয়। বন্যার কারণে দুটি মণ্ডপ নির্ধারিত স্থান থেকে সরিয়ে পূজার আয়োজন করা হচ্ছে।
ফুলপুরের সিংহেশ্বর ইউনিয়ের বনপাড়া সেতুর কাছে দাঁড়িয়ে কথা হয় ভাটপাড়া গ্রামের হাসান মিয়ার (৩৬) সঙ্গে। তিনি ঢাকায় রিকশা চালান। এলাকায় পানি আসছে খবর পেয়ে গত রোববার বাড়িতে আসেন। স্ত্রী হাসিনা বেগম, চার ছেলে ও এক মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের মুন্সিরহাট ষোল্যাকান্দে গ্রামে পাঠান। সেখানে তাঁরাও পানিবন্দী। মাকে নিয়ে পানিবন্দী অবস্থায় আছেন হাসান মিয়া। তিনি বলেন, ‘পানিডা দম ধইরা, দম ধইরা নামতাছে।’