পাবনার চাটমোহরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ বস্তা চালসহ কৃষক দল নেতাকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। সোমবার দুপুরে পৌর শহরের জারদ্রিস মোড় এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানসহ তাকে আটক করা হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মুসা নাসের চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সটকে পড়েন সেলিম হোসেন নামে ওই নেতা। তিনি ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়ন কৃষক দলের আহবায়ক।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জব্দ চাল নিলামের মাধ্যমে খোলাবাজারে বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা করেন ইউএনও।
জানা গেছে, অষ্টমনিষা ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ ৩০ বস্তা চাল একটি অটোভ্যানে করে নিয়ে চাটমোহরে বিক্রি করতে আসেন অষ্টমনিষা ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক সেলিম হোসেন। বিষয়টি গোপনে জানতে পেরে চাটমোহর পৌর শহরের জারদ্রিস মোড় এলাকায় ভ্যানসহ চালের বস্তাগুলো আটক করেন স্থানীয় লোকজন।
চালগুলো কোথাকার এবং কোথায় যাবে? স্থানীয়দের এমন প্রশ্নে একেক সময় একেক কথা বলেন কৃষক দলের এই নেতা। এরপর স্থানীয়দের সন্দেহ হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরীকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ওই এলাকা থেকে সটকে পড়েন কৃষক দল নেতা সেলিম।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জব্দ চাল দাম নির্ধারণ করে নিলামের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা করেন ইউএনও মুসা নাসের চৌধুরী।
দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেলিম হোসেন যুগান্তরকে বলেন, কার্ডধারীরা আমার কাছে চালগুলো বিক্রি করেছে। আমি এ ব্যবসায় নতুন, তাই বুঝতে পারিনি। আমার ভুল হয়ে গেছে।
পালানোর প্রশ্নে তিনি বলেন, ইউএনও আসার খবর শুনে এবং এলাকার লোকজন ভয় দেখানোর পর আমি সেখান থেকে চলে আসি।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। চালগুলো ডিলার কর্তৃক বিক্রি করা হয়নি। চালগুলো পার্শ্ববর্তী উপজেলার একটি ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া। যিনি চাল নিয়ে এসেছেন তাকে পাওয়া যায়নি। পরে নিলামের মাধ্যমে খোলাবাজারে চাল বিক্রি করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে টাকা জমা করা হয়েছে।