গত বুধবার সন্ধ্যায় ববিতার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। ওই সময় বিভিন্ন প্রসঙ্গের পাশাপাশি আলোচনায় উঠে আসে জাফর ইকবালের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব, প্রেম-ভালোবাসা, মান-অভিমানের গল্প। ঢাকাই সিনেমার সুদর্শন নায়ক জাফর ইকবাল আশির দশকেই যে ফ্যাশন, স্টাইল দেখিয়েছেন, তা আজও অনেকের কাছে ভাবনার বাইরে। সমসাময়িক নায়কদের চেয়ে তিনি এদিকটায় ছিলেন অনেক এগিয়ে। জাফর ইকবাল তাঁর সময়ের অনেক নায়িকার সঙ্গেই জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন। তবে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছিলেন ববিতার সঙ্গে। ববিতা আবার সবচেয়ে বেশি কাজ করেন রাজ্জাকের সঙ্গে। দুজনে একসঙ্গে কাজ করেও আনন্দ পেতেন।
কারণ হিসেবে ববিতা বললেন, দুজনেই জহির রায়হানের মতো বিখ্যাত পরিচালকের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে শুরুটা করতে পেরেছিলেন। দুজনের বোঝাপড়াও ছিল চমৎকার। পারিবারিকভাবেও তাঁরা একে অপরের সঙ্গে চমৎকার যোগাযোগে ছিলেন।
জাফর ইকবাল ও ববিতা দুজনে ৪০টি সিনেমায় জুটি হয়েছিলেন বলে জানালেন। সিনেমার কাজ করতে গিয়ে সুদর্শন, স্টাইলিশ জাফর ইকবালকে মনে ধরে ববিতার। একইভাবে ববিতাকেও ভীষণভাবে ভালো লাগে জাফর ইকবালের। স্মৃতি হাতড়ে ববিতা মনে করলেন, তাঁদের দুজনের দেখা এফডিসিতে। শেষ দেখাও সেখানে, যেদিন নিথর দেহের জাফর ইকবালকে শেষবারের মতো এফিসিডিতে আনা হয়। এসব স্মৃতিতে ভর করে বুধবার ববিতা জানালেন, প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও দুজনে কখনোই বিয়ে নিয়ে ভাবেননি। কোনো ধরনের কমিটমেন্টে তাঁরা কখনোই ছিলেন না।