বলিউডে পা রেখেছিলেন ‘পরিণীতা’ হয়ে। এক ঢাল চুল, কপালে টিপ, শাড়িতে তখন বিদ্যা বালন পাশের বাড়ির মেয়ে। কিছু বছরের মধ্যেই ভোলবদল। ‘পরিণীতা’ তখন ‘সিল্ক স্মিতা’। খোলামেলা পোশাক, যৌনতা আর উন্মুক্ত বক্ষভাঁজে অন্য রকম বিদ্যা। তার অভিনয় ‘১০০ কোটি ক্লাব’-এ পৌঁছে দেয় ‘দ্য ডার্টি পিকচার’কে। সাহসী বিদ্যায় মুগ্ধ দর্শক। কিন্তু অভিনেত্রীর মা-বাবা? তারা কী বলেছিলেন?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন বিদ্যা। অভিনেত্রী জানালেন, সিনেমা দেখে নাকি তার মা জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলেন।
বিদ্যা বলেন, ‘আমি খুব চিন্তায় ছিলাম কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেবেন তারা? ইন্টারভেল অব্দি হলের বাইরে তাদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। মনে হয়েছিল, বাবা বাইরে বেরিয়ে এসে বলবে এটা কী করেছ তুমি?’
কিন্তু সত্যিই কি তাই হয়েছিল? বিদ্যার কথায়, ‘বাবা বাইরে বেরিয়ে এলেন। দেখলাম হাততালি দিচ্ছেন। আমাকে ডেকে বললেন, মনেই হয়নি আমার মেয়ে রয়েছে ছবিতে। মজার বিষয় হল আশেপাশের সবাই সেটাই বলছিল।’
আর মা? মা তাকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন, এমনটাই জানান বিদ্যা।
তিনি বলেন, ‘অনস্ক্রিন আমার মৃত্যু হয়েছিল। যা মায়ের পক্ষে মেনে নেওয়া কিছুটা কষ্টকর ছিল। মা বলেছিল, সেক্সি এবং স্লেজির মধ্যে একটা সুক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে।
বিদ্যা তার ‘ডার্টি পিকচার’ ছবির সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান। সেই সূক্ষ্ম ব্যালেন্সটা করতে পেরেছিল টিম।’
সিল্ক স্মিথার মত বিতর্কিত চরিত্রকে বড় পর্দায় ফুটিয়ে তোলা সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু সেই কাজটি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করেছিলেন বিদ্যা। সমালোচক মহলেও কুড়িয়েছিলেন প্রশংসাও। ওই বছরেই পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কারও।