সবচেয়ে বেশি রিপোর্ট করা সাইবার অপরাধের ঘটনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং।
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইমেইল অ্যাকাউন্টে হ্যাকিংয়ের ঘটনা বেড়েছে, যা নিয়ে সতর্কও হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। সামাজিক মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকার উপায় দিয়েছে ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মূল কোম্পানি মেটা।
যুক্তরাজ্যের জালিয়াতি ও সাইবার অপরাধ বিষয়ক জাতীয় প্রতিবেদন কেন্দ্র ‘অ্যাকশন ফ্রড’-এর তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের খবর আগের বছরের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
এক বছরে দেশটিতে ৩৫ হাজার চারশ ৩৪টি হ্যাকিংয়ের রিপোর্ট হয়েছে, যা ২০২৩ সালে রিপোর্ট করা ২২ হাজার পাঁচশ ৩০-এর তুলনায় অনেক বেশি বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
হ্যাকিং ঠেকাতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা শুরুর জন্য মেটার সঙ্গে পার্টনারশিপ করেছে ‘অ্যাকশন ফ্রড’। ব্যবহারকারীদের টু ফ্যাক্টর ভেরিফিকেশন ব্যবহারে উৎসাহিত করার ওপর নজর দিয়েছে সংস্থাটি।
ব্যবহারকারীদের সব ধরনের অনলাইন অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত এ সুরক্ষা স্তরটি অর্থাৎ টু ফ্যাক্টর ফেরিফিকেশন ব্যবহার করে নিজেদের অনলাইন সুরক্ষা জোরদারের আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।
অ্যাকশন ফ্রড বলেছে, বেশিরভাগ সময় আর্থিক লাভের জন্য বিভিন্ন অ্যাকাউন্টকে টার্গেট করে সাইবার অপরাধীরা, বিশেষ করে বিনিয়োগ বা টিকিট জালিয়াতি করতে ঝুঁকিপূর্ণ প্রোফাইল ব্যবহার করে তারা।
অ্যাকশন ফ্রডের ডেপুটি ডাইরেক্টর অ্যাডাম মার্সার বলেছেন, সবচেয়ে বেশি রিপোর্ট করা সাইবার অপরাধের ঘটনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং।
মেটার নিরাপত্তা নীতি পরিচালক ডেভিড আগ্রানোভিচ বলেছেন, “নিজেদের লুকিয়ে রাখতে বা ধরা না দিতে নিরলসভাবে কাজ করছে এবং কাজের কৌশলও ধারাবাহিকভাবে উন্নত করছে সাইবার অপরাধীরা। এ কারণেই এ ধরনের অপরাধীদের কাছ থেকে ব্যবহারকারীদের দূরে রাখার পাশাপাশি অনলাইনে তাদের সুরক্ষিত রাখার নতুন উপায় নিয়েও কাজ করছি আমরা।
“এজন্য টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হতে পারে, যেখানে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত সুরক্ষা স্তর যোগ করার মাধ্যমে অনলাইনে নিরাপদ থাকতে পারেন তারা। এর মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে সাইবার অপরাধীদের প্রবেশ কমিয়েও আনা যেতে পারে।
“হ্যাকড হওয়া বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট এর প্রকৃত মালিকরা যাতে সহজে ফিরে পেতে পারেন তার জন্য আমরা ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তিও চালু শুরু করেছি।
একইসঙ্গে সাইবার অপরাধীদের থেকে এগিয়ে থাকার জন্য সবসময় নতুন উপায় নিয়ে কাজও করে যাচ্ছি আমরা।”
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আরও একটি কারণে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারে। যেমন– বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা।
এর ফলে একটি ওয়েবসাইট থেকে ফাঁস হওয়া পাসওয়ার্ড বেশ কয়েকটি অনলাইন অ্যাকাউন্টকে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে বলেও সতর্ক করেছে মেটা।