প্রথমবার প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট খেলতে নেমেই বাজিমাত গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের। কাগজে-কলমে এখনও সুপার লিগ খেলার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে তামিম ইকবালের মালিকানাধীন ক্লাবটির। দশম রাউন্ডে এসে বুধবার শাইনপুকুরকে ৫ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে পৌঁছে গেছে তারা। ১০ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গুলশানের সুপার লিগ খেলার ভালো সম্ভাবনা আছে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটিতে প্রাইম ব্যাংকের সাথে জিততে পারলে কারও দিকে না তাকিয়ে সরাসরি সুপার লিগে চলে যেতে পারবে গুলশান। ব্যাটিংয়ে ১৬ রানের পর বল হাতে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন আজিজুল হাকিম তামিম।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে গুলশান ক্লাব ১৭৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। জবাবে শাইনপুকুর জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। ৮ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে মইনুল ইসলাম তন্ময় ও নিয়ন জামান ৪০ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৪৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনেই মোড়ক লাগে শাইনপুকুরের। স্কোরবোর্ডে কোনও রান না উঠিয়ে দ্রুত তিন ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন। এই বিপর্যয় অবশ্য কাটিয়ে উঠেছিল শাইনপুকুর। রায়হান রাফসান ও শাহরিয়ার সাকিব চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গুলশানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৩ ওভারে ১৭৩ রান তুলে অলআউট হয় তারা। সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে।
গুলশানের বোলারদের মধ্যে আজিজুল হাকিম তামিম ২০ রানে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া ৩৯ রানে তিনটি উইকেট শিকার করেন নিহাদুজ্জামান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৬ রানের ওপেনিং জুটি পায় গুলশান। অধিনায়ক আজিজুল তামিম ১৬ রানে আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর শাইনপকুরের বোলারদের তোপে নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। গুলশানের মিডল অর্ডার ব্যাটার সাকিব শাহরিয়ারের দায়িত্বশীল ইনিংসে ৪১ ওভারে ১৭৮ রান করতে পারে ঢাকা লিগে প্রথমবার খেলতে নামা দলটি। শাহরিয়ার সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। ওপেনার জাওয়াদ আবরার খেলেন ৩৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। ২২ রান করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ফরহাদ রেজা।
শাইনপুকুরের নিয়ন জামান ৩৭ রানে নেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। রাহিম আহমেদ নেন দুটি উইকেট।