ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস

ইসরায়েলের সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদি বা তারও বেশি সময়ের চুক্তিতে রাজি হামাস। পাশাপাশি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান হলে অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি সংগঠনটি। তবে এটি হতে হবে ১৯৬৭ সালের আগে নির্ধারিত সীমানা অনুযায়ী। এমন সিদ্ধান্তে আসতে পারলে পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হবে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠনটি। একই সঙ্গে স্বাধীন রাষ্ট্র পেলে সামরিক শাখা বিলুপ্ত করা হবে। তখন সশস্ত্র যোদ্ধারা দেশটির জাতীয় সেনাবাহিনীর অংশে পরিণত হবে। খবর এপির।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষ নেতা খলিল আল-হাইয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন। যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের আলোচনায় হামাসের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন খলিল। তুরস্ক সফরকালে ইস্তাম্বুলে বুধবার তিনি এ সাক্ষাৎকার দেন। 

স্বাধীন রাষ্ট্র পেলে হামাসের কার্যক্রম কেমন হবে, সে সম্পর্কেও বিস্তারিত ধারণা দেন খলিল। তিনি বলেন, হামাস স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। স্বাধীনতা, অধিকার ও রাষ্ট্র পেলে আর যুদ্ধ নয়, তারা রাজনৈতিক দলে পরিণত হবে। খলিল বলেন, গাজা ও পশ্চিম তীরে ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনে ফাতাহর সঙ্গে যোগ দেবে হামাস। 

বিশ্ব সম্প্রদায়ও দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানকে প্রবলভাবে সমর্থন করছে। কিন্তু ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কট্টরপন্থি সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

রাফায় আক্রমণের ইসরায়েলি পরিকল্পনা সম্পর্কে খলিল বলেন, এ ধরনের আক্রমণে হামাসকে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। কারণ, গাজার অভ্যন্তরে রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রয়েছে। দু’পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, রণাঙ্গনের যোদ্ধা ও অবস্থান মিলিয়ে হামাসের সক্ষমতার ২০ ভাগও ধ্বংস করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। তারা যদি হামাসকে ধ্বংস করতে না পারে, তাহলে সমাধান কী– এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সমাধান হলো, ঐকমত্যের দিকে যাওয়া।

কাতার থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে চায় হামাস– এমন খবর অস্বীকার করেন খলিল। তিনি বলেন, হামাস চায় আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাতার তার ক্ষমতা অব্যাহত রাখুক। বাকি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে খলিল প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হবে’– এটি যদি আমরা নিশ্চিত না হই, তাহলে কেন বন্দিদের হস্তান্তর করব?

সমুদ্রপথে ত্রাণ সরবরাহের জন্য গাজা উপকূলে তৈরি ভাসমান ঘাটের চারপাশে অবস্থান করা ইসরায়েলি বা অন্যান্য বাহিনীর ওপর আক্রমণের হুমকিও দেন হামাস নেতা। তিনি বলেন, ‘গাজায় জলে বা স্থলে অন্য দেশের সামরিক শক্তি বরদাশত করা হবে না।’

ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার ঘটনাটি ফিলিস্তিন ইস্যুটিকে বিশ্বের নজরে ফিরিয়ে এনেছে উল্লেখ করে খলিল বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সফল হয়েছে।’

এদিকে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের আল-নাসের হাসপাতাল চত্বরে একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। যেখানে ৩ শতাধিক মৃতদেহ রয়েছে। অন্যদিকে, আল-শিফা হাসপাতালে আরও মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গতকাল পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৩০৫ জনে। 



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews