আবুল হোসেনরা পরিচিত ‘চাঙারিওয়ালা’ নামে। তবে প্রকৃত চাঙারিওয়ালা দেখতে হলে যেতে হবে সোয়ারীঘাটে। চাঙারি বলতে বোঝায় বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি টুকরিজাতীয় একধরনের পাত্রকে। মূলত পুরান ঢাকায় এ পেশাজীবীরা কাজ করছেন ৬০ থেকে ৭০ বছর ধরে। পড়শি দেশ ভারতের মুম্বাই শহরে এঁরা পরিচিত ‘ডাব্বাওয়ালা’ নামে। শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে তাঁরা ছোটেন ডাব্বা (টিফিন বক্স) নিয়ে। সেখানে এই পেশার বয়স শত বছর। এখন ডাব্বাওয়ালারা ছড়িয়ে পড়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।
মূলত পুরান ঢাকায় যাঁরা বিভিন্ন দোকানে বা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, দুপুরের খাবারের বন্দোবস্ত করা তাঁদের জন্য বেশ চিন্তার। অনেকের পক্ষে সকালবেলা দুপুরের খাবার সঙ্গে নিয়ে বেরোনো সম্ভব হয় না। আবার অনেক ছোট বা মাঝারি প্রতিষ্ঠানে পৃথক ক্যানটিন নেই। সে ক্ষেত্রে রেস্তোরাঁয় আহার করাই বিকল্প। কিন্তু সেখানে খেতে খরচ বেশি। অনেকেই রোজ রেস্তোরাঁয় খাওয়াকে স্বাস্থ্যসম্মত মনে করেন না। উপায় হচ্ছে বাসার খাবার দোকানে আনিয়ে নেওয়া।