বিকেল ফুরোচ্ছে। ঢলঢল করছে পশ্চিমের সোনা রোদ। মধুর মতন তরল রোদ্দুর গায়ে মেখে মখমলের মতন মোলায়েম হয়ে আছে ঘাস, লতা-পাতা, পুকুরের জলে ভাসা কচুরিপানা। কুরোসাওয়ার সিনেমায় ভ্যানগগের ছবির ভেতর দিয়ে যেমন এক যুবক হাঁটে, তেমনি তুমি হাঁটছ, পায়ে চলা সরু মেঠো পথে।
তোমার মন পড়ে আছে পেছনে। পেছনে ক’জন তোমার দিকে চেয়ে। তাদের চোখ ভরা মায়া, হৃদিভরা আকুলিবিকুলি। বাড়ি পেরিয়ে, সীমানা ছাড়িয়ে তারা এসেছে তোমার বিদায়ী পথের দিকে চেয়ে থাকবে বলে। আঁতুড়ঘর থেকে চেনা স্বজনদের ঘ্রাণ পেছনে ফেলে পা-সরে-না পদক্ষেপে ‘বেড়াতে যাওয়া’ তুমি এগোচ্ছ। তবু, হঠাৎ তুমি পিছু ফিরে চাও।
পথের এক মাথায় তুমি। আরেক মাথায় তোমার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকা প্রিয়জনদের মধ্যিখানে শ’দুয়েক কদমের দূরত্ব। পথের এই দূরত্বটুকুর দু’পাশে ঘন হয়ে ফুটে আছে ভাঁটফুল। পথের এ’মাথা থেকে ও’মাথায় তাকাতে গিয়ে তোমার চোখে আগে পড়ে কনে-দেখা-আলোয় রাঙা ভাঁটের বহর। সিনেমায় রূপান্তর করলে এই দৃশ্যটা হবে তারকোভস্কি স্টাইলে, ধীর লয়ের শট। বিদায়ীর টলোমলো চোখ থেকে ভাঁটফুলের ওপর দিয়ে ধীরে প্যান করে ক্যামেরাটা স্থির হবে মায়াময়ীর মুখের ওপর।
মায়ামুখের সুখচ্ছবির দিকে চেয়ে আচমকা তোমার কান্না উথলে উঠবে। কী অদ্ভুত! এমন তো কখনও হয়নি আগে! নিজের কাছেই বড় নাজুক আর অচেনা লাগবে তোমাকে। কান্না লুকোতে তুমি, তড়িঘড়ি আরও একবার বিদায়ের ভঙ্গিতে হাত নাড়াতে-নাড়াতে, চকিতে ঘুড়িয়ে নেবে ঘাড়। আর তক্ষুনি অলক্ষুনে বার্তার মতন হঠাৎ রাস্তায়, মন তোমার বলে উঠবে, না-জানি কবে এই সুখচ্ছবি শেষ হয়ে যায়!
এই দৃশ্যটা– পথের পাশে কনে দেখা আলো গায়ে মাখা ভাঁটফুলের সারির শেষে মায়ামুখ, তোমাকে তাড়া করে ফিরবে, তোমাকে বোবা করে রাখবে। কেননা, এই বিদায় শেষ বিদায়। এমন দৃশ্য আর কোনোদিন ঘটবে না। তোমার যাওয়ার দিকে দরদ ভরে তাকিয়ে থাকার মানুষদের সাথে সেই হবে তোমার শেষ দেখা।
বিদেশ বিভুঁইয়ে হঠাৎ রাস্তায় অথবা লালবালুর অপরূপ সাগরসৈকতে ফুরোনো বিকেলের সোনা রোদ আচম্বিতে হয়ে উঠবে জাদুর সম্মোহন। রোদের আভায় তোমার মধ্যে অতর্কিতে ছায়াছবির মতন ঝিলিক দিয়ে উঠবে সারি সারি ভাঁটফুলগ্রস্ত বহু পুরোনো এক ফুরোনো বিকেল। ফুলে ভরা সেই পথের শেষে দাঁড়িয়ে থাকা মায়ামুখ নিয়েছে বিদায়। তবুও জয়পুর কি পুষ্কর কি দুর্গশহর গলের রাস্তায় হঠাৎ স্মৃতিভ্রম ঘটাবে ফুরোতে থাকা বিকেলের রোদ! সহসা মনে হবে, কিচ্ছু আমার হারায়নি তো! আছে!
২.
সমস্ত না থাকা জুড়ে মানুষ আসলে ‘থাকা’ জমায়। থাকা মানে, থাকার স্মৃতি। মুঠো গলে বেরিয়ে যাওয়া জলের মতন বেরিয়ে যেতে থাকে জীবন। তাই কি মানুষের ‘জমানো’র এত তাড়া?
‘হঠাৎ রাস্তায় আপিস অঞ্চলে, হারিয়ে যাওয়া মুখ চমকে দিয়ে’ যদি বলে, ‘বন্ধু, কী খবর বল’ তবে, কেন আমাদের এমন লাগে? কবীর সুমনের গানের মীড়ে যে আছে, সে কি আপনি নন?
যখন অঞ্জন দত্ত বলেন, ‘একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে/ থাকবে না সাথে কোন ছাতা/ শুধু দেখা হয়ে যাবে মাঝ রাস্তায়/ ভিজে যাবে চটি জামা মাথা/ থাকবে না রাস্তায় গাড়িঘোড়া/ দোকানপাট সব বন্ধ/ শুধু তোমার আমার হৃদয়/ ভিজে মাটির সোঁদা গন্ধ’– তখন আপনার কেন এমন লাগে? গানটা আদতে কে গায়, অঞ্জন? নাকি আপনি ও আমি?
কেন আমরা ‘দোলনচাঁপার মতো চিকনগৌর মুখখানি’ দেখতে চাই আরেকবার? কেন আমাদের হৃদয় ফালা ফালা হয়ে যায়, যখন চেনাজনকে দেখি ‘অচেনার গাম্ভীর্যে’? সে যখন ‘কালো রঙের একটা গভীর দূরত্ব’ ঘনিয়ে নেয় নিজের চারিদিকে তখন কেন আমাদের পৃথিবী খানখান হয়ে যায়?
রবিঠাকুর কেন লেখেন, ‘রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা/ ভাবিনি সম্ভব হবে কোনোদিন’। অসম্ভবকে সম্ভব করার এই বাসনাটা কেন আমাদের মনে ঘুরে ঘুরে আসে? কেননা আমরা চাই, আমাদের গহিনে যে আছে, তার সাথে আরেকটিবার দেখা হয়ে যাক– ঠিক এইভাবে, অতর্কিতে, আয়োজনহীন। আমরা অপ্রস্তুত হবো। তবু, আমাদের পালানোর পথ থাকবে না কোনো। কেননা, আমরা আসলে চাই না আমাদের আর পালানোর পথ থাকুক। কেননা, আমরা চাই, এমন একটা অলঙ্ঘনীয় কিছু ঘটুক যেন আমরা আর পালাতে না পারি।
তাই, কবিতায় বা গানে বা কল্পনায় এমনিভাবে দৃশ্যপট সাজায় আমাদের গহিন মন যেখানে আমরা হয় বৃষ্টিবন্দি, নয় কামরাবন্দি হয়ে থাকি। কেননা, এই হৃদয়ের রীতি এমনই যে, যার থেকে পালাতে চাই, আমাদের কল্পনার সকল পথ কেবল তারই দিকে যায়।
তাই পরস্পরের চোখের দিকে চেয়ে সব কথা বলে-কয়ে শেষ করে আমরাও নিঃশেষে বিভাজিত হওয়া গণিতের মতন হতে চাই।
৩.
২১-২২ বছর আগের কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে পড়ি। তখনও মোবাইল ফোন হাতে হাতে চালু হয়নি। আমারও ফোন নেই। শামসুন নাহার হলে গণরুমে থাকি। রুমের ১৮ জন বাসিন্দার মধ্যে এক বা দুইজনের ফোন আছে। একদিন দুপুর বারোটা-একটার দিকে ক্লাস শেষে হলের দিকে ফিরছি। হেঁটে হল প্রভোস্টের বাসার গেট পার হচ্ছি। হঠাৎ দেখি আমার থেকে কিছুটা সামনে ধূসর চুলের একজন বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষ ধীর পদক্ষেপে হাঁটছেন। পরনে সফেদ পাঞ্জাবি, সাদা সুন্দর লুঙ্গি, কাঁধের ওপর আরামসে রাখা আছে স্কার্ফের মতন একখণ্ড কাপড়।
লোকটিকে পেছন থেকে দেখে আমি ভাবছি, নিশ্চয়ই কারও দাদা বা নানা হবে। হয়তো নাতনিকে দেখতে এসেছেন। এইসব ভাবতে ভাবতে হাঁটছি। রাস্তায় আর কেউ নেই। আমার আগেই এসে বয়স্ক ভদ্রলোক গেটের মুখে দাঁড়িয়েছেন। আমিও ততক্ষণে গেটের কাছাকাছি। গেটের দিকে মুখ ফেরাতেই দেখি, আরে! গেটের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন আমার নানা! সেই সফেদ পাঞ্জাবি পরিহিত লোকটাই আমার নানা!
‘নানা আপনি’ বলে আমি লাফ দিয়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম! কস্মিনকালেও ভাবিনি, নানা এভাবে আসবেন! নানা বলেন, ঢাকায় আসছিলাম কাজে। ভাবলাম, তোমারে একটু দেখে যাই! পান খাওয়া সুখী শ্যামলা বরণ নানার মুখ হাসিতে উচ্ছল হয়ে ওঠে।
এত বড় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এত বড় হল, আমি কোন রুমে থাকি, কীভাবে হলে কল দিতে হয়, কোথায় আমার ডিপার্টমেন্টের ক্লাস হয়, নানা কিচ্ছু জানেন না! শুধু জানেন, আমি এই হলে থাকি! এই ভরসায় খুঁজতে এসেছেন, আর ঘটনাচক্রে এসে আমার সাথেই দেখা!
আমি ছিলাম তাঁর প্রথম নাতনি। আমার ছেলেবেলায়, আশির দশকে, গ্রামে-মফস্বলে অত রিকশা ছিল না। গ্রামে প্রচুর পথ হাঁটতে হতো। গ্রামের পথে তো সাইকেলই ছিল প্রধান বাহন। মাল টানার জন্য গরুর গাড়ি। আর কিছু রিকশা। গ্রামের লোকেরা কৃষিকাজ করেই কূল পায় না, রিকশা চালাবে কেন!
সেই টলোমলো শৈশবে আমাদের বাসায় আমাকে দেখতে এসে নানা আমাকে রেখে যেতে পারতেন না। এমনও হতো দুপুরে নানার সাথে নানুবাড়িতে গেছি। কিন্তু রাতে আবার কান্না জুড়েছি। তখন রাতেই নানা আমাকে বাসায় নিয়ে এসেছেন। সাত-আট কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে।
সেইসব দিনে রিকশা এবং বাসে ওঠার আগ পর্যন্ত হাঁটা পথটুকু নানা আমাকে সব সময় কাঁধে করে বইতেন। নানার চুল ছিল কদমফুলের মতন, ছোট ছোট। উনি চুলে নারিকেল তেল দিতেন না, সরিষার তেল দিতেন। কাঁধে উঠে আমার থুতনিটা আমি ঠেকিয়ে রাখতাম নানার মাথায়। নানুর বাড়ি আর আমাদের বাসায় এত ঘন ঘন আমাকে আনা-নেওয়া করতে হতো যে, নানার মাথার চুলের ঘষায় আমার থুতনির নিচে চামড়া উঠে গিয়েছিল। এইসব কাহিনি আমার মা-খালারা এখনও বলেন।
সেই নানা তার বড় নাতনিকে দেখতে এসেছেন! হঠাৎ রাস্তায় তার সাথেই দেখা হয়ে গেছে!
হঠাৎ রাস্তায় ঘটা একই হলে, একই গেটের মুখে ঘটা আরেকটা কাহিনি বলি। সেটিও ভালোবাসারই বটে।
প্রথম বর্ষের ঘটনা। একদিন দুপুরে ক্লাস শেষে হলে ফিরছি। গেট দিয়ে ঢুকতে যাব। হঠাৎ শুনি, আমার নাম ধরে কে ডাকে, ‘সোমা’! তাকিয়ে দেখি, এক ত্রস্ত যুবক। শত মাইল পাড়ি দিয়ে এসেছেন ভিন্ন শহর থেকে। তাকে দেখেই, রাগ-বিরক্তি সব একসাথে মাথা চাড়া দিয়েছে। কাছে গিয়ে তাকিয়ে দেখি, ভয়ে ওর হাত কাঁপছে। কথা বলার সময় কাঁপছে গলার স্বরও।
রাগ-বিরক্তির সাথে মায়াও হলো। নুসরাত ফতেহ আলী খান গেয়েছেন, ‘দিওয়ানা মেরে দিল হ্যায়, দিওয়ানে কো কেয়া ক্যাহিয়ে’! আমাকে ওর বলার কিছু নেই। আমি জানি, ও কেন এসেছে। সে-ও জানে যে, আমি জানি সে কেন এসেছে। অতএব, উপেক্ষা না করে, অপমান করে তাড়িয়ে না দিয়ে তাকে নিয়ে আরেকবার শমিতভাবে আলাপে বুঝ দেওয়াই সমীচীন মনে হলো।
দুই সহপাঠী, দুই বন্ধু। একজন যদি নিজের হৃদয়ের কাছে হয়ে পড়ে প্রতিরোধহীন তাকে দোষ দেওয়ার উপায় কী? ফতেহ আলী খানের ভাষায় যদি এক পক্ষের মনে হয়, ‘উঠাতে হ্যায় নাজার তো গিরতি হ্যায় বিজলি’ তো অন্য পক্ষের ঠেকাবার উপায় কী! তবে একজনের হৃদয় যখন আরেকজনের জন্য ‘জ্বালাতন’, তখন তো দাঁড়ি টানতে জানতে হয়।
কিন্তু তা কি আর সব সময় হয়? সব ঘটনা তো আর হল গেটে দাঁড়িয়ে থাকা ত্রস্ত হরিণের ঘটনা দিয়ে শেষ হয় না। হঠাৎ রাস্তায় এমন গল্পের সূচনা হয়, যা স্বপ্নের ভেতরে সাপ হয়ে আসে। একই স্বপ্ন, একই সাপ, পুনরাবৃত্তি হতে থাকে বছরের পর বছর।
হঠাৎ একদিন পথের পাশে দুই যুবক দাঁড়িয়ে থাকবে। একজন এসে জিজ্ঞেস করবে, ‘হাই! হাউ আর ইউ?’ অপ্রস্তুত নবম শ্রেণির মুখ ও মগজ তখন বরফপানি খেলার মতন বরফ হয়ে বোবা হয়ে যাবে। মাথা নিচু করে সে তখন হাঁটায় গতি তুলবে। দুই সহগও হাঁটতে থাকবে পাশে। আলাপের অবতারণাকারীই কথা চালাতে থাকবে। সে আদতে ডাকহরকরা। পাশের জনের হৃদয়ের বার্তাবাহী। বেচাইন হৃদয় যার, সে নিজেই ক্রমে নিজের কথা বলতে শিখবে। হাত কেটে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে লোক দিয়ে চিঠি বাড়িতে পাঠাবে। কাটা হাতে ব্যান্ডেজ করে সে পথের পাশে দাঁড়িয়ে থাকবে। পথের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একদিন পথরোধ করবে। নিবেদন গৃহীত না হলে হবে আগ্রাসী।
সেই সব নিবেদন, সেই সব আগ্রাসনের ভীতি মনের তলানিতে জমা হয়ে ঘুমের ভেতর দেখা দেবে সাপ হয়ে। অজগরসম একটা বিরাটাকার হলুদরঙা সাপ, পিঠে যার ছোপছোপ কালচে দাগ, সে কেবল আমার দিকে আসতে থাকবে। একই স্বপ্ন। বারবার। বারংবার। মাসের পর মাস। বছরের পর বছর।
হঠাৎ রাস্তায় আরও কত গল্প ঘটে! ‘বিফোর সানরাইজ’ সিনেমা তো হঠাৎ রাস্তারই স্বপ্নকাব্য! গল ফোর্ট থেকে ফেরার পথে দেখা হওয়া লঙ্কান যুবক নন্দসেনা, শাহজালালের মাজারে দেখা হওয়া মার্কিন জেফ, দিল্লির জামে মসজিদের সামনের রিকশাচালক দিলশাদ, ঢাকার আর্ট গ্যালারিতে দেখা হওয়া থতমত মুখ– এদের সাথেও তো হঠাৎই দেখা, পথে।
জীবন এক আশ্চর্য জাদুর কাঠি। দূর গ্রামে বেড়াতে গিয়ে মেঠো পথে ভরদুপুরে বাঁশঝাড়ের নিচে যখন হাওয়া বইছে শনশন, হঠাৎ কবিতার চিত্রকল্প সত্য হয়ে যায়, জীবন এসে কপালে চুমু খেয়ে যায়। হঠাৎ ভোরবেলায় রাস্তায় তিন বন্ধু মিলে খেলাচ্ছলে কপালে দিতে গিয়ে সিঁদুরের টিপ, আত্মায় লেগে যায় রঙের ছাপ।
৪
হঠাৎ রাস্তায় যা কিছু ঘটে, তার সব আসলে হঠাৎ নয়। ল অফ অ্যাট্রাকশনের দর্শন বলে, মনের গহিনে চেতনে-অবচেতনে তুমি যা ভাবো, যা খোঁজো, যা গোপন রাখো, তাই আসলে কোনো না কোনোভাবে তোমার দৃষ্টি কাড়ে। রুমিও সেই কথাই বলেছেন, তুমি যা খুঁজো, তা তোমাকে খোঁজে।
কাছাকাছি দর্শনেরই আরেকটা আলাপ দিয়েছেন কার্ল ইয়ং। সিংক্রোনিসিটি দিয়ে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, আপাত অর্থে হঠাৎ অনেক ঘটনা ঘটে, যেগুলো পরস্পর সম্পর্কহীন বলে মনে হয়। কিন্তু প্রকৃতার্থে এদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিরাজমান। সেই সম্পর্ক বুঝতে হলে, ইউ হ্যাভ টু পে অ্যাটেনশন। ‘হঠাৎ’ সামনে আসা মানেই হঠাৎ ঘটা নয়। ফুল যেভাবে ফোটে, সেভাবেই সংসারে, মানবীয় সম্পর্কের ভেতরে অনেক কিছু ঘটে। এনার্জি, ফ্রিকোয়েন্সি আর ভাইব্রেশনে গড়া এ ব্রহ্মাণ্ডে আমরা দেখতে জানি না বলে, কত কিছুই ‘হঠাৎ’ বলে চোখ এড়িয়ে যায়।