১. মধু
আমাদের সমাজে শিশুর জন্মের পরপরই তার মুখে মধু দেওয়ার রীতি আছে। তবে সত্যিটা হলো এটা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা, কাঁচা (র) মধুতে ক্লোস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনামের স্পোর থাকতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া পেটে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। কেননা, এক বছর পর্যন্ত শিশুর পাকস্থলী এটা পরিপাক করতে পারে না। তবে এক বছরের পর শিশুকে মধু দেওয়া যাবে। তত দিনে শিশুর পাকস্থলী মধুর এই স্পোর হজম করার জন্য পরিণত হয়ে যায়।
২. ‘আধ সেদ্ধ’ ডিম
শুরুতেই শিশুকে ‘হাফ বয়েলড’ বা ‘আন্ডারকুকড’ ডিম দেবেন না। এর সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া পেটে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে ডায়রিয়া, টাইফয়েড ফিভার, গ্যাস্ট্রোএন্টারটাইটিস, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ তৈরি করতে পারে। এ ছাড়া এতে বমি, খাবারে অরুচি, ক্ষুধামান্দ্য, ডিম খেতে না চাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. ফলের জুস
ফলের জুস ফলের মতো পুষ্টিকর নয়। শিশুকে ফলের জুস যত কম খাওয়াবেন, ততই ভালো। কেননা ফলের জুস খাওয়ালে প্রথমত, অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা কম থাকবে, খেতে চাইবে না। দ্বিতীয়ত, ফলের জুস শিশুর দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। আর তৃতীয়ত, ফলের জুসের অ্যাসিটিক বৈশিষ্ট্যের কারণে পেটের নানা ধরনের সমস্যা আর অস্বস্তি হতে পারে।