২০১৮-এর প্রথম পর্যায়ের কোটা আন্দোলনের মূর্ত পাঁচ দফা দাবিগুলো ছিল:
১. কোটার সংস্কার করে এর মাত্রা ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।
২. কোটা পূরণের জন্য যোগ্য প্রার্থী (অর্থাৎ বিসিএস পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থী) না পাওয়া গেলে সেখানে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদ শূন্য রাখা যাবে না।
৩. কোটায় নিয়োগের জন্য আলাদাভাবে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা করা যাবে না।
৪. সরকারি চাকরির জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করতে হবে। এবং
৫. চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা-সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না।
প্রথমে ১৩ মার্চের মধ্যে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য একটি আলটিমেটাম দেওয়া হয়। তারপর আবার ৯ এপ্রিল কয়েক হাজার সমর্থক কর্মী গণপদযাত্রা করে বেলা তিনটায় শাহবাগে এসে জমা হন। কিন্তু সেদিন সরকারি বাহিনী ওই জমায়েতকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কিন্তু পরে আন্দোলন থেমে না গিয়ে আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
কিছুতেই যখন এই আন্দোলন থামানো যাচ্ছিল না, তখন ১১ এপ্রিল সংসদে সব ধরনের কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্ভবত এটি ‘আবেগপ্রসূত’ বা ‘বিরক্তিবশত’ একটি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত ছিল। তিনি নিজেও পরে স্বীকার করেছেন।