‘এই পৃথিবীর এক স্থান আছে—সবচেয়ে সুন্দর করুণ/ সেখানে সবুজ ডাঙা ভরে আছে মধুকূপী ঘাসে অবিরল/ সেখানে গাছের নাম: কাঁঠাল, অশ্বত্থ, বট, জারুল, হিজল’—স্থানটি হয়তো পুরাটা এই পঙ্ক্তির মতো সাজানো নয়। এখানে সবুজ ডাঙায় পঙ্ক্তির মতো দু-চারটি হিজল ছাড়া মধুকূপী ঘাস নেই; কাঁঠাল, অশ্বত্থ বা বট নেই। তবে এই স্থানও এই পৃথিবীরই, এখানেও সবুজ ডাঙা আছে, চোখজুড়ানো মায়া ছড়িয়ে অন্যরা আছে। আর স্থানটিতে এ সময়ে যে আছে ‘সবচেয়ে সুন্দর করুণ’ হয়ে, সে হচ্ছে বাড়ির কাছের আরশি-পড়শি রূপসী এক ফুলের রানি ‘জারুল’।
এই প্রতিবেশীর এখন কারও দিকে চোখ ফেরানোর কাজ নেই। এখন সে উদাস-আনন্দে নিজেকে উজাড় করছে, গাছে গাছে ফুলের বন্যা নিয়ে এসেছে। রূপ তার বেগুনি, হাওয়ার বুকে ঢলে পড়ছে, নাচ করছে। স্থানটি মৌলভীবাজার শহরের উত্তর পাশে, মনু নদের পাড়ে। মনুর পাড়ে অনেকগুলো জারুলগাছে এখন ফুলেদের হাসিখুশি সময় চলছে।