এটি করতে হলে ইউরোপের নিজস্ব যেসব গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে, তা তারা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারে। যেমন ফ্রান্স ও ব্রিটেনের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে এবং সেগুলো ইউরোপের জন্য প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে। জার্মানির রাইনমেটাল নামের প্রতিষ্ঠান অস্ত্র তৈরি করে আর ইউক্রেন ড্রোন প্রযুক্তিতে দক্ষ। এটি ইউরোপের সামরিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যুক্তরাজ্যের বিএই সিস্টেমস এবং ফ্রান্সের এয়ারবাস সামরিক সরঞ্জাম ও বিমান নির্মাণের ক্ষেত্রে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। নেদারল্যান্ডসের এএসএমএল এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যার উন্নত মাইক্রোচিপ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইইউভি প্রযুক্তির ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এসব সম্পদকে কাজে লাগিয়ে ইউরোপ যদি চায়, তবে বৈশ্বিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এবং স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে একত্র করতে পারে।

কিন্তু ইউরোপ এখনো সেই ধরনের সহযোগিতামূলক জোট গঠনের চেষ্টা শুরু করেনি। যদি তারা জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে, তাহলে চীন বুঝতে পারবে, যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে বিশ্ব কেবল তাদের জন্য উন্মুক্ত নয়।

ট্রাম্পের ন্যাটোবিরোধী মনোভাবের কথা বিবেচনায় নিয়ে ইউরোপীয় ও এশীয় গণতন্ত্রপন্থীদের উচিত তাদের সামরিক ও অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা কমিয়ে একে অপরের সঙ্গে নতুন ধরনের অংশীদারি গড়ে তোলা। ভারত বরাবরই কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সংবেদনশীল। তাই ভারত এ ধরনের প্রচেষ্টায় সহযোগী হতে পারে।

একসময় ফরাসি নেতা শার্ল দ্য গল ফ্রান্সের জন্য এই কাঠামোই কল্পনা করেছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পর দ্য গল আশঙ্কা করেছিলেন, সোভিয়েত আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ইউরোপকে রক্ষা করতে আসবে না। তিনি স্পষ্টভাবেই আমেরিকানদের বলেছিলেন, প্যারিসকে বাঁচানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র নিউইয়র্ককে বলি দেবে, এমন কথা তিনি বিশ্বাস করেন না।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews