রান্নাঘরের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সঙ্গী যদি কিছু থেকে থাকে, সেটা নিঃসন্দেহে ফ্রিজ। খাবার দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য আমরা দিনের পর দিন যা কিছু পাই, সবই ঢুকিয়ে ফেলি ফ্রিজে। কিন্তু জানেন কি, কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো ফ্রিজে রাখলেই তাদের গুণগত মান কমে যায়, এমনকি স্বাস্থ্যঝুঁকিরও কারণ হতে পারে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, তাপমাত্রার ভুল ব্যবস্থাপনা বা সংরক্ষণের ভুল কৌশলের কারণে অনেক খাবার দ্রুত পচে যেতে পারে, স্বাদ হারাতে পারে, কিংবা তাদের গঠনই পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে। নিচে এমন ৩৪টি পরিচিত খাবারের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলো ফ্রিজে না রাখাই ভালো:
স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই ভালো থাকে যেগুলো
আলু
,
পেঁয়াজ
,
রসুন
,
মধু
ও
কফি
ফ্রিজে
রাখলে
এদের
গঠন
ও
স্বাদ
নষ্ট
হয়।
তাজা
তুলসী
পাতা
,
মরিচ
ও
মশলা
ঠান্ডা
পরিবেশে
গুণাগুণ
হারায়
,
রং
ও
ঘ্রাণও
কমে
যায়।
কলার
মতো
ফল
বা
টমেটো
,
আঙুরজাত
ফল
,
নাশপাতি
ও
অ্যাভোকাডো
ঠান্ডায়
পাকার
প্রক্রিয়া
বাধাগ্রস্ত
হয়
বা
টেক্সচার
নষ্ট
হয়।
টিনজাত
টুনা
,
আচারের
বোতল
ও
সয়া
সস
ফ্রিজ
ছাড়াই
সংরক্ষণের
জন্য
প্রস্তুত
থাকে
এগুলো।
যেসব খাবারে টেক্সচারের বড় ক্ষতি হয়
পাউরুটি
,
সিরিয়াল
ও
ঝাঁঝালো
শুকনো
মাংস
ফ্রিজে
রাখা
মানেই
অতিরিক্ত
আর্দ্রতা
,
ফলে
খাবার
হয়ে
পড়ে
খাওয়ার
অযোগ্য।
গাজর
,
শশা
ও
বাটারনাট
স্কোয়াশ
ফ্রিজের
ঠান্ডায়
দ্রুত
পচে
যেতে
পারে।
ঠান্ডায় স্বাদ হারায় এমন কিছু খাবার
ঝাল
সস
,
টমেটো
কেচাপ
,
সয়া
সস
ফ্রিজে
সংরক্ষণে
স্বাদ
কমে
যায়
,
এমনকি
তরল
আলাদা
হয়ে
যেতে
পারে।
তেল
ও
মাখন
জমে
গিয়ে
স্বাভাবিক
ব্যবহার
কঠিন
করে
তোলে।
ফলমূল ও সবজির ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি
তরমুজ
,
আপেল
,
গ্রীষ্মমণ্ডলীয়
ফল
(
যেমন
আনারস
,
নারিকেল
)
ফ্রিজে
রাখলে
দ্রুত
গঠনগত
ও
স্বাদগত
পরিবর্তন
ঘটে।
কুমড়ো
,
ডিম
,
অ্যাভোকাডো
না
পাকলে
বা
না
কাটা
অবস্থায়
ফ্রিজে
রাখলে
নষ্ট
হওয়ার
আশঙ্কা
থাকে।
কখন রাখবেন ফ্রিজে?
যদিও উপরের তালিকার অধিকাংশ খাবার ফ্রিজে রাখার দরকার নেই, তবে কিছু খাবার কাটা বা রান্না করার পর ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায় স্বল্প সময়ের জন্য—যেমন তরমুজ, ডিম বা অ্যাভোকাডো। তবে মনে রাখতে হবে, সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি ও তাপমাত্রা মেনে চললেই তবেই তা নিরাপদ।
সব খাবার ফ্রিজের জন্য নয়। খাবারের ধরন বুঝে সংরক্ষণের উপায় বেছে নিলে যেমন খাবারের পুষ্টিমান বজায় থাকে, তেমনি অপচয়ও রোধ করা যায়। এবার থেকে আপনি কি আরও সচেতন হবেন?
সূত্র: https://www.carnovels.com