দলকে আগে শক্তিশালী করে পরে সরকারবিরোধী আন্দোলনে যেতে বিএনপির হাইকমান্ডকে পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা। গতকাল রোববার বিকেলে দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তারা এ পরামর্শ দেন।

বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, দলের দপ্তরের দায়িত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এবং ১৩ জন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। গত শুক্রবার থেকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের দিয়ে ভার্চুয়াল এ বৈঠক শুরু হয়েছে। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের পর ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গেও বৈঠক হবে।

এমরান সালেহ প্রিন্স জানান, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি, করোনা মহামারির অবস্থা নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে এই ধারাবাহিক ভার্চুয়াল বৈঠক। প্রতিদিন ১৪-১৫ জন সিনিয়র নেতা এই বৈঠকে থাকবেন। পর্যায়ক্রমে প্রতিদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে অন্যসব উপদেষ্টা ও ভাইস চেয়ারম্যানরা অংশ নেবেন।

প্রাথমিকভাবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বৈঠকের সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর পরও এই বৈঠক চলবে। প্রতিটি বৈঠকেই তারেক রহমান সভাপতিত্ব করবেন, থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। এ ছাড়া প্রতি বৈঠকেই স্থায়ী কমিটির এক বা একাধিক সদস্য থাকবেন।

বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানান, গতকাল তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে ১৩ জন উপদেষ্টা বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মহামারি পরিস্থিতি, সরকারের দমন-পীড়ন, লুটপাট ইত্যাদি বিষয়ে বক্তব্য দেন।

এ বৈঠকে অধিকাংশ নেতা সরকার পরিবর্তনে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলে মত দিলেও আগে দলকে তৃণমূল থেকে শক্তিশালী করার বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। তারা বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনের জন্য সব দল-মতকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এর জন্য ডান-বাম সবাইকে সঙ্গে রাখতে হবে। প্রয়োজনে যুগপৎ আন্দোলনে যেতে হবে।

বৈঠকে কয়েকজন নেতা নিখোঁজ ইলিয়াস আলী ইস্যুতে মির্জা আব্বাসের বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দলের নেতাদের জড়িয়ে যেভাবে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন তাতে পুরো দলকে তিনি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছেন। মির্জা আব্বাসকে আরও সতর্ক হয়ে বক্তব্য দেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তারা। কয়েকজন নেতা সরকারের 'লুটপাট' আর অনিয়মের বিষয়ে বক্তব্য দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দলের হাইকমান্ড থেকে লুটপাটের বিষয়ে ডকুমেন্টারি তৈরীর বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেন নেতারা।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, বৈঠকে বর্তমানে করোনা মহামারিতে কীভাবে আরও জনসম্পৃক্ত কাজ বাড়ানো যায়, কীভাবে করোনায় আক্রান্ত কিংবা দুস্থদের পাশে আরও বেশি করে থাকা যায়, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া লকডাউনের মধ্যে সরকারের দমনপীড়ন এবং এ অবস্থায় করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিদেশে অর্থ পাচার ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে উপদেষ্টাদের মধ্যে ছিলেন ক্যাপ্টেন সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ, আব্দুর রশীদ সরকার, অধ্যাপিকা তাজমেরী ইসলাম, অধ্যাপক শাহিদা রফিক, গোলাম আকবর খোন্দকার, হাবিবুর রহমান হাবিব, তাহমিনা রুশদীর লুনা, ড. মো. এনামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক সুকমল বডুয়া, বিজন কান্তি সরকার প্রমুখ।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews