যখন কোনো কিছু ঠিক থাকে না বা কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে, তখন চতুর্মুখী গুজব সৃষ্টি হয়। মানুষ বুঝে উঠতে পারে না, কোনটি সত্য, কোনটি মিথ্যা। ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামল জুড়ে সৃষ্টি হয়েছিল অসংখ্য গুজবের কারখানা। এ নিয়ে হাসিনার মধ্যেও ছিল পতনের ভয়। একেকটি গুজব ছড়াত, আর তার ভয় বেড়ে যেত। এই ভয় তাড়াতে তিনি বেছে নিয়েছিলেন, বিএনপিকে নিঃশেষ করে দেয়ার পথ। কারণ, একমাত্র বিএনপিই ছিল তার ক্ষমতায় থাকার চ্যালেঞ্জ। ফলে কিছু হলেই বিএনপির উপর রাষ্ট্রের সকল শক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তেন। দলটির শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা, গুম, খুন, অপহরণ, নিপীড়ন, অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে। আদালতের বারান্দায় কাটত তাদের দিন। সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই আদালতে হাজিরা দেয়া ও মামলার খরচ চালাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে তারা। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের পান্ডারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জায়গাজমি দখল করে এলাকাছাড়া করেছিল। অসংখ্য বিএনপির নেতাকর্মী জীবন চালাতে রিকশা চালাত। অনেকের সংসার ভেঙে গেছে। অনিশ্চিত জীবনের কারণে বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে অনেক অভিভাবক মেয়ে বিয়ে দিতে চাইতেন না। তারপরও বিএনপির নেতাকর্মীরা বছরের পর বছর হাসিনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে গেছে। দল ত্যাগ করেনি। ফলে হাসিনা সবচেয়ে বেশি ভয় পেত বিএনপিকে। তার চেয়ে বেশি ভয় পেত, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। কারণ, সন্দেহাতীতভাবে বেগম খালেদা জিয়া হাসিনার চেয়ে বহুগুণ জনপ্রিয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি যতবার পাঁচটি করে আসনে নির্বাচন করেছেন, ততবারই বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে, হাসিনা তিনটির বেশি আসনে দাঁড়াতেন না। সে তিনটিরও কোনো কোনোটিতে ফেল করেছেন। এমনকি, তার অধীনে ভুয়া নির্বাচনেও পাঁচটি আসনে তাকে নির্বাচন করতে দেখা যায়নি। তিনটি পাতানো নির্বাচনে তিনটি করে আসনে পাস করেছেন। ফলে বেগম জিয়াকে চিরতরে নিঃশেষ করে দেয়ার জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়ে জেলে রেখেছেন। জেলের মধ্যেও তাকে স্লো পয়জন দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশেও যেতে দেননি। খালেদা জিয়া যে, নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছেন, কখনো কখনো মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গিয়েছেন, তা জেলে থাকতেই হয়েছে। অন্যদিকে, তারেক রহমান যাতে দেশে ফিরতে না পারেন, এজন্য তাকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়াসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন। প্রায় ১৬ বছর ধরে বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করে ধুলোয় মিশিয়ে দেয়ার জন্য হেন কোনো অপচেষ্টা নেই, যা হাসিনা করেননি। এতকিছুর পরও বিএনপি টিকে আছে।

দুই.

বিএনপির এই টিকে থাকার কারণ কি, এ প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। জবাবে বলা যায়, হাসিনার স্টিম রোলার এবং চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে এবং বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অসীম ভালবাসা ও সর্বোচ্চ ত্যাগের কারণে একমাত্র সর্ববৃহৎ দল হিসেবে বিএনপি টিকে আছে। বরং বিএনপিকে হাসিনার ধ্বংস করে দেয়ার হিংসা দলটিকে শক্তিশালী করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার এবং হাসিনার সময়ের তার দলীয় পুলিশ যেভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে, তাদের রক্ত বেঁচে থাকা নেতাকর্মীদের ঐক্যের প্রতীক ও প্রেরণার উৎস হয়েছে। নেতাকর্মীদের বন্ধনকে দৃঢ় করেছে। সর্বোচ্চ ত্যাগ ও নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্যের শক্তি জুগিয়েছে। বিগত ১৭ বছরে বিশ্বের আর কোনো রাজনৈতিক দলকে এত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে কিনা, জানা নেই। আমরা জানি না, বিএনপির যেসব নেতাকর্মীকে হাসিনার পুলিশ ও নেতাকর্মীরা খুন ও গুম করেছে, সেসব নেতাকর্মীর পরিবার কেমন আছে? তারা শুধু দলের জন্য জীবন দেয়নি, ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে উৎখাত করে দেশকে ভারতের আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত করতে জীবন দিয়েছে। তারা নিশ্চিতভাবেই দেশপ্রেমিক ছিলেন। বলতে দ্বিধা নেই, ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থান হয়েছে, তার পেছনে বিএনপির নেতাকর্মীরা বড় শক্তি হয়েছিল। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীরা যদি বর্শার ধারালো ফলা হয়, তাহলে ফলার লম্বা লাঠি হয়েছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা। এই লাঠি ১৭ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নিপীড়ন-নির্যাতন, গুম, খুনের বিরুদ্ধে লড়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের ভিত্তি গড়েছে। এ কথা ভুলে গেলে চলবে না। এখন অনেকে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে হাসিনার পতনের কৃতিত্ব নিতে চায়। একটি ইসলামী রাজনৈতিক দলের আচরণ দেখে মনে হয়, তারাই সব করেছে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের এই সময়ে প্রশাসনসহ সর্বত্র তাদের অনুসারী লোকজনকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে এবং হচ্ছে। ভাবখানা এমন, তারাই এখন সরকার এবং বিএনপির প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে। বিস্ময়ের বিষয় হচ্ছে, প্রশাসনে থাকা ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের অনেকেই এখন সেই দলের লেবাস লাগিয়েছে। ফলে দলটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাঁধে বন্দুক রেখে আধিপত্য বিস্তারের প্রবণতা দেখাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে তার তাড়া নেই। কারণ, সে ভালো করেই জানে, ভোটের হারে বিএনপি থেকে সে যোজন যোজন দূরে রয়েছে। নির্বাচন হলে সরকার গঠনের মতো আসন পাবে না। ফলে প্রশাসনের সর্বত্র নিজের লোকজন বসিয়ে পর্দার আড়ালে থেকে যতদিন পারা যায়, সরকার পরিচালনায় প্রভাব বিস্তার করে এগুতে চাচ্ছে। দেশের মানুষ জানে, এই দলটির সাথে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামল থেকে ’৯৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে ছিল। এরশাদের অধীনে বেগম খালেদা জিয়া অপসহীন থেকে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। অথচ সেই সময় দলটি আওয়ামী লীগের পথে হেঁটে নির্বাচনে গিয়েছিল। ’৯৬ সালে তো আওয়ামী লীগের সাথে যুগপৎভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরপর দলটির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা থেকেও সেই সম্পর্কের প্রকাশ ঘটেছে। আগামী নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়, তাহলে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের সাথে পর্দার আড়ালে জোট বাঁধলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। অন্যদিকে, বিএনপি তার নীতিতে অটল থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার মাধ্যমে তার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের দিকে মনোযোগ দিয়েছে।

তিন.

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে একটি কথা প্রায়ই শোনা যেত যে, কখনো যদি তাকে ক্ষমতা থেকে চলে যেতে হয়, তাহলে বিএনপি যাতে ক্ষমতায় না আসে এ ব্যবস্থা করে যাবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা দেবে, তবুও বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না। হাসিনার সে খায়েশ পূরণ হয়নি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে ভারতে তার প্রভু মোদির কাছে আশ্রয় নিয়েছে। জাতির উদ্দেশ্যে কিছু বলারও সময় পাননি। উল্লেখ করা প্রয়োজন, হাসিনার অধীনেও যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হতো, তাতেও বিএনপিই ক্ষমতায় আসত। সেটা হাসিনাও জানতেন। তাই তিনি তার খয়ের খা দলগুলোকে নিয়ে বারবার বিনাভোট, রাতের ভোট, ডামি ভোট করে গেছেন। বিএনপি বরাবরই হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তে অটল ছিল। এ নিয়ে হাসিনার অনুসারী তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, মিডিয়া এবং রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপক সমালোচনা করেছিল। তাদের কথা ছিল, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দেখুক, সুষ্ঠু হয় কিনা। এমন সমালোচনার মুখে বিএনপি ’১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। সে নির্বাচন রাতের বেলাই হয়ে গিয়েছিল। বিএনপি সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রমাণ করে দিয়েছে, হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে যে অবস্থান নিয়েছিল, তা ছিল শতভাগ সঠিক। ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরাতে বিএনপি কী না করেছে! শত নির্যাতন এবং মৃত্যুকূপে থেকেও হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছে। সে সময় সহকর্মীদের আড্ডায় অস্ফুট স্বরে বলতাম, কোনো একদিন যদি হাসিনার পতন ঘটে, তখন রাজনীতির মাঠে বিএনপি ছাড়া আর কাউকে দেখা যাবে না। এখন বাস্তবে তাই দেখা যাচ্ছে। এই যে গত রবিবার বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদল ভারতের বাংলাদেশবিরোধী অবস্থান ও আধিপত্যবাদী আচরণের প্রতিবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা করে, তাতে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের যে ঢল নামে, এ মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক দলের মিছিলে কি এমন দৃশ্য দেখা যাবে? এর আগে বিএনপি রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় যেসব সমাবেশ করে এবং তাতে দলটির নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা গেছে, তা কি এ সময়ে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে কি সম্ভব? সম্ভব নয়। এর মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয়, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর একমাত্র দল হিসেবে রাজনীতির মাঠে বিএনপিই টিকে আছে। শুধু বিএনপি তার দলীয় কর্মসূচিই পালন করছে না, নেপথ্যে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি সফল করতে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে হাসিনা-মোদির ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে। গত ১০ নভেম্বর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ রাজধানীর জিরো পয়েন্টে যে সমাবেশের ডাক দিয়েছিল, তা প্রতিহতে কে ভূমিকা রেখেছিল? কারা রাত জেগে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছিল? টেলিভিশন লাইভে তো বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থক ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি। যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়েছে, তা জারি রাখতে মূল ভূমিকা কিন্তু বিএনপিই পালন করছে। অথচ এই বিএনপিকে প্রতিহত করতে এখন অদৃশ্য শক্তি নানা ধরনের চক্রান্ত করছে। তারা ভালো করেই জানে, আগামীতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপিই ক্ষমতায় যাবে। তাই দেশি-বিদেশি চক্র বিএনপি যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে, এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে। বিষয়টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ভালোভাবে অবগত, তা তাঁর প্রত্যেকটি ভাষণ ও বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়। ফলে তিনি দলের নেতাকর্মীদের এ ব্যাপারে বারবার সতর্ক করে দিচ্ছেন। সতর্ক করছেন এই বলে, আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। সংগ্রাম-আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি। তিনি যথার্থই বলেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি দেশ ও জনগণের কল্যাণে যেসব বক্তব্য রাখছেন, তা প্রশংসিতও হচ্ছে। এমনকি, আওয়ামী ঘরানার সাংবাদিকদের সাথে যখন কথা হয়, তারাও তারেক রহমানের বক্তব্যের প্রশংসা করেন। বলেন, তিনি অত্যন্ত পরিপক্ক ও ধী সম্পন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। তারেক রহমানের এ বক্তব্য এবং ভাষণ বিএনপির প্রত্যেক নেতাকর্মীর মেনে চলা উচিৎ। ক্ষমতায় এসে গেছিÑএমন মনোভাব নিয়ে যদি চলে, তাহলে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে। কাজেই তাদের সাবধান ও সচেতন হতে হবে।

চার.

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বিএনপির প্রাথমিক বিজয় এনে দিয়েছে। চূড়ান্ত বিজয় তথা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে তাকে বহু দূর যেতে হবে। এজন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের ধৈর্য ও সংযমী হতে হবে। এ মনোভাব ধারন করতে হবে, বিগত ১৭ বছর তারা জীবন দিয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে, ধৈর্য ধরেছে, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে সমস্যা নেই। তাদের মনে রাখতে হবে, বিএনপিই এখন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারিদের এক নম্বর টার্গেট। এখন এ কথাও আলোচিত হচ্ছে, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মাইনাস করা হবে। চক্রান্তকারীরা নিশ্চিতভাবেই জানে, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জনগণ বিএনপিকেই ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাবে। এ বাস্তবতা তারা অস্বীকার করতে পারছে না। তাই চক্রান্তকারিরা বিএনপি আসুক, তবে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে যাতে মাইনাস করে আসে। বলা বাহুল্য, বিএনপির নিউক্লিয়াসই হচ্ছেন, এই দুই জাতীয় নেতা। তাদের মাইনাস করতে পারলে, বিএনপি ক্ষমতায় এলেও দল হিসেবে দুর্বল হয়ে পড়বে এবং বিভক্তি দেখা দেবে। ফলে বিএনপি বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করে ধ্বংস করে দেয়ার অপচেষ্টা ফ্যাসিস্ট হাসিনাও করেছিল। হাসিনার প্রেতাত্বারা এখন সেই টার্গেট নিয়ে নেমেছে। এ প্রেক্ষিতে, বিএনপির নেতাকর্মীদের গড্ডালিকা প্রবাহে কিংবা ক্ষমতার কাছাকাছি চলে যাওয়ার আনন্দে গা ভাসালে চলবে না। দেশি-বিদেশি শক্তির চক্রান্ত রুখে দিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের এখন আগের চেয়ে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

[email protected]



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews